দিয়াজের এ সাফল্য অনেক কষ্টের পর। করোনায় পর্যুদস্ত দেশটিতে অলিম্পিক প্রস্তুতির সুযোগ পাননি। সুযোগ–সুবিধার অপ্রতুলতাও দেশের বাইরে যেতে বাধ্য করেছিল তাঁকে। ১৮ মাস ধরে মালয়েশিয়ায় বসে প্রস্তুতি নিয়েছেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে রুপা জিতেছিলেন। কাল যখন স্ন্যাচে ৯৭ কেজি আর ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১২৭ কেজি ওজন তুলে ফেললেন, উচ্ছ্বসিত দিয়াজ দেখলেন দেশের ইতিহাসে ঢুকে গেছেন।

এযাবৎকালে অলিম্পিকে ৩টি রুপা আর ৭টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল ফিলিপাইন। কিন্তু তাতে মন ভরছিল না দেশের মানুষের। অলিম্পিকে একটা সোনার পদকের আশায় প্রজন্মান্তরের অপেক্ষার অবসান হলো কাল। ৯৭ বছরের অপেক্ষার অবসান, সেটি তো সাধারণ কোনো বিষয় নয়।

কেবল টাকা নয়, বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠান মেগাওয়ার্ল্ড করপোরেশন তাঁকে একটি কনডোমিনিয়াম উপহার দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। যে কনডোমিনিয়ামের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি টাকা।

এ তো গেল দিয়াজের ব্যক্তিগত প্রাপ্তি। ফিলিপাইনের খেলাধুলাও এ সাফল্যে দারুণভাবে উপকৃত। এই প্রথমবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, ফিলিপাইনের ক্রীড়াবিদেরা কত কম সুযোগ–সুবিধার মধ্য দিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যান, ‘দিয়াজকে এ অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন। আমরা স্বীকার করছি, অনেক কম সুযোগ–সুবিধার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ক্রীড়াবিদেরা অনুশীলন করেন। তাঁদের আর্থিক সুবিধাদিও যথেষ্ট অপ্রতুল। দিয়াজের সাফল্য আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা ক্রীড়াবিদদের সুযোগ–সুবিধা কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কাজ করছি।’

অলিম্পিকের একটা সাফল্যের মূল্য অনেক বেশি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here