জামালপুরের বকশীগঞ্জের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আজ মৃত্যুপথযাত্রী। শরীরে মরণব্যাধী বস্নাড ক্যান্সার রোগে বাসা বেধেছে। টাকার অভাবে তাঁর চিকিৎসার বন্ধ হওয়ায় উপক্রম।
জানা গেছে, উপজেলার পুরান বাট্রাজোড় গ্রামের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান (৫৮) দেশ মাতৃকার ডাকে সাড়া দিয়ে৭১’র মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার বিজয় ছিনিয়ে আনেন। ওই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের বকশীগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও জামালপুরের বিভিন্ন রণাঙ্গনে সাধারণ যুদ্ধের পাশাপাশি একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন তিনি।
রৌমারীর কোঁদালকাটি এলাকায় পাক হানাদারদের দোসত্ম রাজাকারদের ক্যাম্পে হামলা চালান। ওই হামলায় শত্রম্নপড়্গের গোলার আঘাতে তাঁর শরীর ড়্গত বিড়্গত হয়।
এই মুক্তিযোদ্ধা ৭১’র অসীম বীরত্বে সফল হলেও বর্তমানে জীবন যুদ্ধে এক পরাজিত সৈনিক।
গত নভেন্বর /২০১১ মাসে তার শরীরে বস্নাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রতি সপ্তাহে তাকে ২-৩ পাউন্ড রক্ত দিতে হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ সপ্তাহ রক্ত দিতে পারলেও অর্থের অভাবে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। অবশেষে হাসপাতাল কর্তৃপড়্গ বাড়িতে ফেরত পাঠায়।
তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লড়্গ টাকার প্রয়োজন। এত টাকা তার পড়্গ্যে যোগাড় করা অসম্ভব।
বতর্মান রোগাক্রানত্ম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান অসহায়ত্ব এবং ঝুঁপরির বিছনায় শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তাকে দেখার জন্য কেউ এগিয়ে আসছেন না বলে তাঁর পবিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বিনা চিকিৎসার পাশাপাশি অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন।
কান্না জড়িত কন্ঠে আব্দুর রহমান ইউনাইটেড নিউজ টয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, আমি বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন মানচিত্র প্রতিষ্ঠার অংশীদার। কিন্তু স্বাধীনতার পর অভাবের তাড়নায় কখনও স্বচ্ছলভাবে চলতে পারি নাই। গায়ে জোর থাকতে ছোট একটি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। কিছু জমি ছিল তা বিক্রি করে দিয়ে সংসার চালিয়েছি। মেয়েকে অনেক আগেই বিয়ে দিয়েছি। এক ছেলে বিয়ে করে ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরি করে সেখানে থাকে। তিনি আরও বলেন, যে দলের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে শক্রকে পরাজিত করেছি সেই দল আজ ড়্গমতায়। অথচ তারা আমার কোন খবর রাখেনা।
অর্থের অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী আবদুর রহমান আরও কিছুদিন এই সুন্দর ভুবনে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে তিঁনি দেশ বাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আর কিছু দিন বাচাঁর আকুতি। আমি আর ক”টা দিন বাচঁতে চাই আমাকে বাচাঁর সুযোগ করে দাও।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ছাইদুর রহমান/জামালপুর