আ হ ম ফয়সল, ঢাকা
৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২-এর চতুর্থ দিন। এ দিন মেলায় গল্প-১২, উপন্যাস-৩২, প্রবন্ধ-৮, কবিতা-৩১, গবেষণা-১, ছড়া-৭, শিশুসাহিত্য-৬, জীবনী/স্মৃতিচারণ-২, মুক্তিযুদ্ধ-৩, নাটক-১ বিজ্ঞান-৩, ভ্রমণ-১, রম্য/ধাঁধা-৯, অনুবাদ-২, সায়েন্স ফিকশন/গোয়েন্দা-২, অন্যান্য-১৩, মোট-১৩৩ টি নতুন বই এসেছে। মেলায় আজও দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে বিক্রির পরিমান বাড়েনি বলে অভিযোগ করেন আহমদ পাবলিশিং হাউস এর প্রকাশক মেসবাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি আরও বলেন, মেলার দর্শনার্থীরা এখন ঘুরে ফিরে বই দেখছেন।
এ ছাড়া বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ভাষা-শহীদ রফিক উদ্দিন, আবুল বরকত ও আব্দুস সালাম বিষয়ে প্রবন্ধ উপস’াপন করেন ড. আমিনুর রহমান সুলতান এবং ড. শাহীদা আখতার। আলোচনায় অংশ নেন গবেষক শাহিদা খাতুন, ভাস্কর রাসা এবং ড. তসিকুল ইসলাম রাজা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষা-শহীদ রফিক-বরকত-সালাম এবং অন্যান্য শহীদেরা অসম সাহসিকতায় বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। কিন’ দুঃখজনক হলেও সত্য সব শহীদের সমাধি সনাক্ত ও সংরক্ষণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাঁদের স্মৃতিচিহ্নসমূহ উত্তর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেও ব্যর্থ হচ্ছি। আর স্বাধীন বাংলাদেশে ভাষা-শহীদের পরিবারবর্গ অসি-ত্ব রক্ষার কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও নিদারুণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তারা জাতির জন্য যা অত্যন- কলঙ্কজনক। ভাষা-শহীদ সালাম ও রফিকের সমাধি যেহেতু এখনও অচিহ্নিত তাই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাঁদের প্রতীকী কবর স’াপন করতে হবে।
সভাপতির ভাষণে রামেন্দু মজুমদার বলেন, একুশ শোকের নয়, জীবনের জয়গানের নাম। অমর একুশের নেপথ্য-নায়ক ভাষা-শহীদদের আদর্শ আজকের তরুণদের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় সেন্টু রায় নির্মিত তথ্যচিত্র ‘আলতাফ মাহমুদ’। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।