
শেখ মোঃ আবুল বাসার, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ::
যশোরের অভয়নগরে ১৪৪ ধারা জারি করে বাদী পক্ষের তা লংঘন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কামরুল ইসলামের ছেলে হাসিবুর রহমান (২৩) একই গ্রামের মৃত নেহাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), মৃত ফজলুর ছেলে মোঃ মিন্টু (৪৫), মোঃ মিন্টুর স্ত্রী হীরা খাতুন(৩৫), মহাকাল আলীপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩৫), মোশাররফ’র স্ত্রী ময়না বেগম(৩০), গাজীপুর গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে তুহিন মোল্লা (৩০), বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাসারত মোল্লার মেয়ে আবিরোন্নেছা(৪৫)’র নামে গত ৩০.০৭.২৩ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট যশোর আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই সকালে বালিয়াডাঙ্গা মৌজায় ৩১১ আরএস খতিয়ান ২১৩৪ নং দাগে ৫.৯১ শতক জমিতে উল্লেখিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রযোগে বাদীর গোয়ালঘর, বিছালীঘর, টিউবওয়েল, বাথরুম দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে বাদীর প্রতিরোধের মুখে পিছু হটে এবং পরবর্তীতে আবার দখল করবে হুমকি দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৪৪ ধারা জারি করার পর বাদী নিজেই সে স্থানে টয়লেট নির্মাণ করে ব্যবহার করছেন।
জানা গেছে, এলাকার আঃ গফুর মোল্যা(৬৫), রিপন মোল্লা (৫২) সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিসে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আনোয়ার হোসেন তার জমির অংশ থেকে ৩ ফুট রাস্তা ও অপর শরীকদের নিকট ৩ ফুট জায়গা নিয়ে ৬ ফুট রাস্তা মৃত বাসারতের শরিক আবিরোন্নেসা(৫০), সোনাবান(৬৫), রাবিয়া(৫৫) সহ এলাকার যে সকল ব্যক্তি বিলে জমি চাষ করে তাদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে ষ্ট্যাম্পে একটি লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।
কিন্তু শালিসের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে মৃত বাসারত মোল্লার ছেলে মোঃ কওসার মোল্লা (৬০) ও মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মোঃ তোরাব আলী’র প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সম্পূর্ণ ৬ ফুট রাস্তার প্রবেশ মুখে মাটি ফেলে উঁচু করে ও টয়লেট নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দেয় হাসিবুর রহমান। এলাকাবাসির অভিযোগ, আনোয়ার হোসেনের ৩ ফুট রাস্তা দখলের অধিকার বাদীর নেই, সে পেছনের শরীকদের পথ আটকে বাধ্য করে তাদের জমি দখল করতে চায়।
এলাকাবাসী আরও বলেন, মাসাধিক পূর্বে বাদী নাটোর জেলায় পুলিশের হাতে ৩২ কেজি গাঁজাসহ আটক হয় এবং কিছু দিন পরেই জামিনে এসে হামলা মামলা করে তটস্থ করছে। এলাকাবাসী আরও জানান, দারোগা মেহেদী ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করতে গিয়ে বিবাদীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
বাদী হাসিবুর রহমানের মা বলেন, আমরা দারোগা মেহেদী’র কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে টয়লেট নির্মাণ করেছি।
এসআই মেহেদী বলেন, আমি টয়লেট নির্মাণের অনুমতি দেইনি।