শেখ মোঃ আবুল বাসার, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ::
“পুুলিশ জনতা ভাই ভাই, পাথর নিক্ষেপকারীর রক্ষা নাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে খুলনা রেলওয়ে জেলা পুলিশ চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করতে নওয়াপাড়া রেল ষ্টেশনে এক পথসভার আয়োজন করে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রেল ষ্টেশনে পথসভায় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মজনুর রহমান, খুলনা রেলওয়ে থানার ওসি মোল্যা খবির আহমেদ ও ডিআইওয়ান ইন্সপেক্টর মোল্যা আফজাল হোসেন। পথসভায় সহকারী পুলিশ সুপার মজনুর রহমান বলেন, দিন দিন বেড়েই চলেছে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। পাথরের আঘাতে হতাহত হচ্ছেন অনেকে। পাথর নিক্ষেপ করা দূর্বৃত্তদের সনাক্ত করা বা শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেড়েছে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, অন্য যে কোন গণপরিবহনের তুলনায় ট্রেনকে নিরাপদ ভেবে অনেকে ট্রেনে যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রেনে দূর্বৃত্তদের পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মাঝে চরম আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে। মাইকে প্রচার করা সহ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কাজ করলেও সহসাই বন্ধ করা যাচ্ছে না ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা। ফলে রেলপথ অনিরাপদই থেকে যাচ্ছে। বিগত দিনে চলন্ত ট্রেনে পাথরের আঘাতে রেল কর্মীদেরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রচার প্রচারণা করার কারনে আগে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা কিছুটা কমেছে। আগে পাথর নিক্ষেপ প্রতিদিনই ঘটত কোনো না কোনো ট্রেনে। বর্তমানে এটি কিছুটা কমেছে। তিনি পাথর নিক্ষেপকারীকে হাতে নাতে ধরিয়ে দিলে ১৫ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেন।
ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ষ্টেশনে অপেক্ষমান এক যাত্রী বলেন, আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি। মাঝে মধ্যে ছুটিতে বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। আরামদায়ক ও নিরাপদ হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই ট্রেনে আসা যাওয়া করি। তবে বিভিন্ন সময় দেখি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত নিহত হন। এসব ঘটনা আমাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করছে।