ডেস্ক রিপোর্ট:: মাদারীপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৭ জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নদী থেকে বালু পরিবহনরত ৭টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। পরে আটককৃতদের প্রত্যেককে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দীন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকায় লোয়ার কুমার নদে এ অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দীন। এদিকে শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বাল্বহেডের থাকা ৪৪ হাজার ঘন ফুট বালু নিলামে বিক্রি করে যে পরিমাণে অর্থ হবে তা সরকারি কোষাগারে দেওয়া নির্দেশও দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার রাজাবাজার এলাকার মো. দুলাল মাঝির ছেলে মো. মহসিন (৩৫), বড়ইবাড়ী এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে ফরিদ (৩৭), বলদিয়া কাটাখালি এলাকার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে নাসির (৩০), ইয়াকুব আলী হাওলাদারের ছেলে জাহারুন (২৫), গ্রামডুবি এলাকার আইউব আলীর ছেলো ওবায়দুল (৩৪), উত্তর কুটিবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জলিল (৩০) এবংবরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পশ্চিম তেতলা গ্রামের আজিজ হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল (২৭)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের শ্রীনদী এলাকায় নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় নদীতে ৭ টি বাল্কহেড বালু ভরা অবস্থায় জব্দ করে প্রশাসন। আটক করে ৭ জনকে। আটককৃতরা অপরাধ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যককে ১৫ দিনের সাজা দেওয়া হয়। এদিকে আটককৃত বাল্কহেডে থাকা ৪৪ হাজার ঘনফুট বালু বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার বাজারমূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিন বলেন, বাজেয়াপ্তকৃত বালু স্পট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে বিক্রি লব্ধ অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমাদানের জন্য শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শ্রীনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আটককৃত বাল্কহেড মালিকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ আটককৃত বাল্কহেডের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলাতলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাল্কহেডগুলো পুলিশ হেফাজতে আছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।