মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আদায়ে বিধিবিধান না মানা, একক ক্ষমতায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, এলজিএসপির আওতায় ইউনিয়ন পরিষদ,বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে নিজ বাড়ীর রাস্তা তৈরী, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ সুস্পষ্ট প্রমাণিত হওয়ায়, নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মোজামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী সাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই বহিষ্কার আদেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে, ইউনিয়ন পরিষদে বিচারপ্রার্থী নারীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ, শালিসের নামে স্কুলে ছাত্রী ও তার পরিবারকে মারধর, অবৈধ বালু উত্তোলন, বিচার প্রার্থী এক অসহায় ব্যক্তিকে টয়লেটে আটকে রেখে নির্যাতন, শত শত সরকারি গাছ কর্তনসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বহিষ্কৃত ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীতে তার বাড়ির কেয়ারটেকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়, ঘটনাটির সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক ডেইলি অবজাভারের সুবর্ণচর উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের প্রতিবেদক মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমনের ওপর হামলা করে মোজাম্মেল চেয়ারম্যান। পরে সাংবাদিক সুমন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন জিডি নং- ৬১১।
হামলার ঘটনাসহ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের অপকর্ম তুলে ধরে তার বহিষ্কার দাবিতে গত ২১ জুলাই নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি পেশ করে বাংলাদেশ রিপোর্টাস ক্লাব নোয়াখালী জেলা শাখা।
এছাড়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে চট্রগ্রাম, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর সুবর্ণচর সহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এত অপকর্মের মূলহোতা মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের বহিষ্কারের সংবাদে সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরন করে তার কাছে নির্যাতন হওয়া মানুষ ও এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা মোজাম্মেল চেয়ারম্যানেরর সকল অপরাধ আমলে নিয়ে তাকে দ্রুত গ্রেফতার একং শাস্তির দাবি জানান।