ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শামছুল আলম খান দাখিল মাদ্রাসায় চলছে নানান রকমের আর্থিক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি। একই ব্যাক্তি দুইটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব আছেন এই প্রসঙ্গে অত্র মাদ্রাসার সুপারের নামে সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জ উপজেলা ম্যধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কারন দশাও নোটিশ জারি হওয়ার পর অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার তার পদ ছেড়ে দেয়।

মূলত সে খাতা কলমে না থাকালেও এই মাদ্রাসার অফিস সহকারী শাহানাজ পারভীনের সাথে সাবেক সুপারের বিশেষ সখ্যতা থাকার কারনে অফিস সহকারী এখন এই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করছে।

মাদ্রসার ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবকদের কথা বলে জানা গেছে, সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে বই বিতারন করলেও এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রত্যক ছাত্র ছাত্রীর নিকট থেকে বই বাবদ ২০০ করে টাকা নেওয়া হয়েছে।

এই টাকা নেওয়ার সময় তাদের বলা হয়েছে যে সেশন ফি বাবাদ এই টাকা নেওয়া হ্যেচ হয়েছে কিন্ত কাউকে কোন রশিদ দেওয়া হয়নি। তাহাছাড়া কেউ মাদ্রাসায় ছাড়পত্রের জন্য আসলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে পাঁচ শত করে টাকা নিয়ে তার ছাড় পত্র দেওয়া হয়। এই ভাবেই ছলছে বিভন্ন দুর্নীতি। ভুক্তভোগী অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা এই প্রসঙ্গে উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।

এই প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সুপার শাহানাজ পারভীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বই বাবাদ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন বই বাবদ কোন টাকা নেইনি। টাকা নিয়েছে সেশন ফি বাবাদ। ছাড়পত্র নিতে হলে তাকে টাকা দিতেই হবে। টাকা না দিলে কোন ছাড়পত্র দিতে পারব না।

এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফ সরকার বলেন, বই এবং ছাড়পত্র বাবাদ কোন ছাত্র ছাত্রীর নিকট থেকে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ন নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেব।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here