এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবান জেলা প্রশাসন আয়োজিত ও সেনা রিজিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মংগলবার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ‘পর্যটন শিল্প ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা শীর্ষক কর্মশালায়’ আমন্ত্রিত মিডিয়াকর্মীদের অপমান করা ও অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠানমালা বর্জন করেন তারা।
বরাবরই সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত সরকারি অনুষ্ঠানগুলোতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রন জানানোর পর তাদেরকে নানাভাবে অপমান করা এবং অসৌজন্যমুলক আচরণ করা হয়ে থাকে।
মংগলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে জেলার অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ পর্যটন শিল্প ও আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা বিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয় সেনা রিজিয়ন কর্তৃপক্ষ। পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারের যে ২৮টি বিভাগ ও বিষয় ন্যস্ত রয়েছে তার মধ্যে পর্যটন বিভাগ অন্যতম গুরুত্বপুর্ন একটি বিভাগ। এ কর্মশালায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না আমন্ত্রণপত্র না পাওয়ায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সা.) মো.আবু জাফর স্বাক্ষরিত আমন্ত্রণপত্র পেয়ে জেলা সদরে কর্মরত সরকারি ও বেসরকারি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা প্রতিনিধিরা যথাসময়ে অনুষ্ঠানস’লে উপসি’ত হলে তাদের জন্য কোন আসন সরক্ষণ না থাকায় তারা কয়েকটি সাধারণ আসনে বসে পড়েন। এ সময় মাইকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী ঘোষণা দেন- আসনগুলোতে সেনা কর্মকর্তা ও ইউএনওরা বসবেন। সাধারণ আসনে বসার চেষ্টা করা হলেও জানানো হয় এসব আসনেও কর্মকর্তারা ছাড়া নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানরা বসতে পারবেন না।
প্রশাসনের এহেন অপমানমুলক আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি এবং সাবেক পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য আবদুর রহিম চৌধুরী, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীন শিক্ষক মো.বাদশা মিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা অনুষ্ঠান বর্জন করে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন অপমাণিত সাংবাদিকদের সাথে।
এহেন জঘন্যতম ঘটনায় জেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেন, সরকারি পলিসি এখানে মার খাবানোর চেষ্ঠা করা হচ্ছে, কতপিয় অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তার গর্হিত ও নিন্দনীয় আচরণে। এ ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন জনপ্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিক নেতারা।