ঢাকা : নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকট তা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ২টি রুপরেখা দিয়েছে গবেষণা ধর্মী সামাজিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। দল নিরপেক্ষ একজনকে প্রধান করে ১১ বা ১৫ সদস্যের সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে সুজনের এই রুপরেখায়।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি এ এস এম শাহাজাহান, সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংকট দূর করতে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়িক সম্প্রদায়, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৩টি ক্ষেত্রে নির্বাচন পূর্ব ঐক্যমত গঠন করতে হবে।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন পূর্ব ঐকমত্যের ৩টি ক্ষেত্র হবে- সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা উদ্ভাবন, নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য একটি আচারণ বিধি প্রণয়ন যা সবাই মেনে চলবে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সরকার সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনা করবে।
এসময় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কিত সমস্যা রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি। যেখানে নাগরিকদের কোন ভূমিকা ছিলনা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দূর করতে প্রধান দুটি দলের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সংলাপ ও সমঝোতা হওয়া আবশ্যক উল্লেখ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. বদিউল আলম মজুমদার দুটি রূপরেখা তুলে ধরেন।
প্রথমত, মহাজোটের ৫ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ১৮ দলীয় জোটের ৫ জন সংসদ সদস্য ও একজন দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে (যিনি প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন) নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, মহাজোটের ৫ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য, ১৮ দলীয় জোটের ৫ জন সংসদ সদস্য এবং দল নিরপেক্ষ ৫ জন্য ব্যক্তির (তাদের একজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন) সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিজেদের তারা সীমাবদ্ধ রাখবেন।