ইয়ানূর রহমান, যশোর প্রতিনিধি ::
যশোর সদরের কিসমত নওয়াপাড়ার হাসানুর গাজী নামে এক যুবককেবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি চালিয়ে অঙ্গহানির অভিযোগে বুধবার (২৮ আগষ্ট) সাবেক পুলিশ সুপার ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান সহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানা পুলিশের সাবেক ওসি শিকদার আক্কাছ আলী, এস আই জামাল হোসেন, এস আই এইচ এম মাহামুদ, কনস্টেবল অভিজিৎ, হাসনাত, হাফিজ ও সাঈদ। ভুক্তভোগী হাসানুর গাজী নিজেই মামলা করেছেন। তিনি কিসমত নওয়াপাড়ার কুদ্দুস আলীর ছেলে।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ গ্রহণ করলেও এ দিন কোনো আদেশ দেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো.আব্দুল্লাহ।
হাসানুর গাজী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১২টার দিকে উল্লিখিত আসামিরা তার বাড়িতে যান। এ সময় আসামি তৎকালীন ওসি শিকদার আক্কাছ আলীর নির্দেশে আসামি কনস্টেবল অভিজিৎ, হাসনাত, হাফিজ ও সাঈদ সেখান থেকে হাসানুরকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলেন এবং হাসানুরের মা মিনা বেগমকে থানায় দেখা করতে বলেন।
একটু পরেই মিনা বেগম কোতোয়ালি থানায় যান এবং তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আসামি এসআই জামাল হোসেনকে অনুরোধ করেন। তখন এস আই জামাল হোসেন তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে বাড়ি গিয়ে এক লাখ টাকা যোগাড় করে ফের থানায় এসে এসআই জামাল হোসেনকে দেন মিনা বেগম। কিন্তু তাতেও মন গলেনি এস আই জামাল হোসেনের। তিনি আরও ৪ লাখ টাকার জন্য মিনা বেগমকে চাপ সৃষ্টি করতেথাকেন। তখন মিনা বেগম বাকী ৪ লাখ টাকা এনে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন এস আই জামাল হোসেন।
ওইদিন দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে হাসানুরে বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি করা হয়। এরপর তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে হাসানুরের বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে বাদ দিতে হয়েছে।