খোরশেদ আলম বাবুল।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কৌশলে বিদ্যুতের সাথে সম্পৃক্ত একটি চক্র।
বিত্তবান বা গরীব অসহায় কেউ রক্ষা পাচ্ছেনা এ চক্রের চক্রান্ত থেকে। কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ না পেতে অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করবে না। অথচ ইতোমধ্যে ঘুষ লেনদেন নিয়ে সংঘাতে একজন নিহত হয়েছে আর সেই বিষয়ে তদন্ত ও করছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। আসল কথা লাভের নৌকা সামনে পাহাড় পড়লেও থেমে থাকে না।
সখিপুরের পল্লী বিদ্যুৎ প্রত্যাশী প্রতি গ্রাহকের কাছেই শোনা যায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে টাকা নিয়ে হয়রাণী ও দুর্নীতির কথা। পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ঘুষ গ্রহন সহ সকল ধরণের হয়রাণী বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
সখিপুর অঞ্চলের পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক টিউলিজ রহমান কলি অভিযোগ করে বলেন, আমার সখিপুর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে একটি অসাধু চক্র বিদ্যুৎ সংযোগের নাম করে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। ঘুষ লেনদেনের কাজে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ ইলেকট্রিশিয়ানদের ব্যবহার করছে। এ অনিয়মের একটা বিহিদ হওয়া প্রয়োজন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোষারূপ করে তিনি আরও বলেন, সখিপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎতের সংযোগ প্রদানের পূর্ব সংযোগের ফিটনেস সংক্রান্ত যে পরীক্ষা করা প্রয়োজন রয়েছে তা থেকেও এলাকার গ্রাহকগণ বঞ্চিত হচ্ছে।।
সখিপুর ইউনিয়নের নয়ন সরকার কান্দির পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক দিনমজুর ও ভ্যান চালক মনির সরদার জানান, তার বসত ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অনুমোদিত ডিলার ও ইলেকট্রিশিয়ান আক্তারের সাথে যোগাযোগ করে। আক্তার মিটার পাইয়ে দেয়ার নাম করে মনিরের কাছ থেকে ১৯শত টাকা নেয়। পরে মনির জানতে পারে মিটারের আবেদন সহ যাবতীয় খরচ মাত্র ৬৫০ টাকা।
এ বিষয়ে ইলেকট্রিশিয়ান আক্তারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, আক্তাররাতো কম টাকাই নিচ্ছে। অন্যান্য এলাকায় মিটার পেতে আরও বেশী টাকা গুনতে হয় গ্রাহকদের।
একই ইউপি’র ছৈয়াল কান্দির বাসিন্দা শামসুল হকের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন জানান, বিদ্যুতের খুঁটি পাইয়ে দেয়ার নামকইরা ইলেকট্রিসিয়ান জানশরীফ এপর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ৩হাজার টাকা নিয়েছে। আগের আবেদন বাদ পড়ছে বলে তাদের কাছ থেকে আরও টাকা চায়।
ইলেকট্রিশিয়ান জানশরীফের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, তিনি কোন টাকাপয়সা নেননি। সকল টাকা পয়সা উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ স্যারকে দিয়েছি।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাশ টাকা গ্রহনের কথা অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। আর গরীব মানুষ বিদ্যুতের আলো পেতে অন্ধকারে ডুবছে।
এধরনের অভিযোগ চরভাগাতেও শোনা যায়। ইউনিয়নের খুনি কান্দি এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানী মতিন বেপারী জানায়, পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতি অনুমোদিত সখিপুরের ইলেকট্রিশিয়ান মনসুর মাদবর মিটার দেয়ার নামকরে গত মে মাসে তার কাছ থেকে ২৫শত টাকা নেয়। আজও মিটার পায়নি মতিন বেপারী।
সখিপুর এলাকায় দায়িত্বরত ডিজিএম এর সাথে আলাপ কালে বলেন, গ্রাহক সরাসরি আসলে সঠিক সুবিধা পাবে। অনেক সময় গ্রাহকরা কারও মাধ্যমে ভায়া হয়ে আসে তখন দালালরা তাদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়।