বান্দরবান: জেলা শহরের বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ ও ১২ বছর বয়সী দুই শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগে স্কুলের দপ্তরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে বান্দরবান থানায় ওই দুই নির্যাতিত শিশুর অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ বান্দরবান মধ্যম পাড়ার মৃত চিংশৈউ মারমার ছেলে এবং বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরি অংথুইপ্রু মারমাকে(৩০) স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার রাত ১০টায় পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিকদের কাছে।
নির্যাতিত ১০বছরের শিশু’র পিতা শৈনু মারমা বলেন, আমার ১০বছর বয়সী শিশু এখন অসুস্থ। বান্দরবান পাড়া স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। তাকে (আমার শিশুকে )স্কুলের দপ্তরি অংথুইপ্রু মারমা এক মাস আগে থেকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমরা জানতাম না। ভয়ে কাহাকেও ঘটনার বিষয়ে বলেনি সে। রোববার স্কুলে যাবার সময় আবার আমার শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হলে অসহ্য হয়ে মুখ খুলছে আমার শিশু।
অপর দিকে ১২বছর বয়সী একই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া নির্যাতিত শিশু’র মা শৈম্রাচিং মারমা অভিযোগ করেন, আমার মেয়েকে কুরবান ঈদের আগে একবার ধর্ষণ করেছে ওই স্কুলের দপ্তরি। ভয়ে মুখ খুলতে চাইনি। অসহ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি স্কুলের দপ্তরি ধর্ষক অংথুইপ্রু মারমার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমাদের এই দু’ শিশু’র ধর্ষক নরপশু অংথুইপ্রু মারমার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
গ্রেপ্তারকৃত স্কুলের দপ্তরি অংথুইপ্রু মারমাকে থানার হাজতে জিজ্ঞাসা করা হলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তা ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবি করেছেন।
বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক উসংনু মারমা জানান, দপ্তরি অংথুইপ্রম্ন মারমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোন সময় এ ধরনের আচরণের কোন অভিযোগ আসেনি আগে।
এব্যাপারে বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অংথুইপ্রুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্কুলে দুই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।