139147_382_136208ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান। এই অভিযান চালায় পুলিশ, র‌্যাব, সোয়াট ও ডিবি’র যৌথ বাহিনী।

রাত ১টা থেকে ৭টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত চলা এই অভিযান মনিটরিং করা হয় প্রশাসনের উপর মহল থেকে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের রাত কাটে নির্ঘুমভাবে ।

ওই এলাকায় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এ যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। রফিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, কিছুক্ষণ পরপর গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে ৫ নম্বর সড়ক। সবার মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের বাসিন্দাদেরও রাত কেটেছে আতঙ্কের মধ্যে।

অপর এক বাসিন্দা জানান, কিছুক্ষণ পরপর প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে উঠছিল। আমরা সবাই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর রাত পার করেছি।

পুলিশের দেয়া ভাষ্যমতে, কল্যাণপুর ৫ নম্বর সড়কে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ৭ তলা ভবনে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর পুলিশ অভিযান চালায়। তিনতলা পর্যন্ত ওঠার পরে পাঁচতলা থেকে দুই যুবক নেমে এসে গুলি চালায়। এসময় এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গুলি লাগে। একই সঙ্গে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হাসান নামে এক জঙ্গি আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরে রাত ১টার পর থেকে ওই এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ-র‌্যাব সদস্যরা। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, রাত প্রায় সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় চলে। পরে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫১ মিনিটে পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি যৌথ অভিযান শুরু করলে ফের শুরু হয় গুলি বিনিময়। দ্বিতীয় দফায় এক ঘণ্টার অভিযানে ৯ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এতে অভিযানে অংশ নেয়া  কয়েকজন পুলিশ আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভবনটির নীচতলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া আছে। ৫ম থেকে সপ্তম তলায় চারটি করে ইউনিটে প্রত্যেকটিই মেস হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় খোরশেদ আলম বাবুল জানান, ওই বাড়ির মালিক সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আতাহার আলী আগে দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। কয়েকমাস ধরে তিনি কল্যাণপুরেই অন্য একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছেন।

তিনি বলেন, এই মেস থেকে আগেও অনেকজনকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here