জহিরুল ইসলাম শিবলু,
লক্ষ্মীপুর : ঈদ উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে জামা-কাপড়, পাঞ্জাবী ও জুতার দোকানের বেচাকেনা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে লক্ষ্মীপুরে মার্কেট গুলোতে ততই বাড়ছে কেনা-কাটার ভিড়। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শহরের মার্কেট গুলোতে ক্রেতার ভীড়ে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। জামা-কাপড়, পাঞ্জাবী, জুতা ও শাড়ির দোকান গুলোতে ক্রেতা সমাগম থাকে সবচেয়ে বেশি। মেয়েদের কসমেটিকস্ ও ইমিটেশনের গহনার দোকান গুলোতেও ক্রেতার ভীড় লক্ষ্যনীয়। দর্জির দোকান গুলো এরই মধ্যে ঈদে পোশাকের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
শহরের পৌর সুপার মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট, নগর বাজার, অঙ্গশোভা, শাহ আলম সুপার মার্কেট, চকবাজারসহ অন্যান্য মার্কেটের বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে মেয়েদের থ্রি-পিস, সালোয়ার কামিজ, টপস-স্কার্টসহ ছেলেদের জিন্সের প্যান্ট, পাঞ্জাবী ও শার্টের চাহিদা বেশি।
এ প্রসঙ্গে নগর বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক চৌধুরী জানান, দেশি ব্র্যান্ডের পোশাকের পাশাপাশি বিদেশি পোশাকের চাহিদাও প্রচুর রয়েছে। বিশেষত পুঁতি, রঙিন পাথর আর চুমকির কাজ করা পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে বেশি। ছেলেদের পোশাকের মধ্যে জিন্স প্যান্ট, লং পাঞ্জাবী, সর্ট পাঞ্জাবী, পোলো শার্ট, গেঞ্জি, ও পায়জামার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
শহরের শাড়ির কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এই ঈদে দেশি শাড়ির মধ্যে টাঙ্গাইল তাঁত, পাবনা, রূপগঞ্জের জামদানী, জর্জেট, সিল্ক জামদানী, মাখন জর্জেট এবং বিদেশি শিফন, বেনারসী, বালুচরি, কাতান ও লেহেঙ্গার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব শাড়ি ও লেহেঙ্গা ৫ হাজার থেকে শুরম্ন করে ৪০ হাজার টাকা দামের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। শহরের প্রায় সব দোকানেই শাড়ি ও পোশাকের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
বাটা, এ্যাপেক্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার দোকান ছাড়াও শহরের প্রায় সকল জুতার দোকানেই এবার জুতা কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। এ ছাড়াও শহরের অলি-গলি ও ফুটপাতে ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ী জুতার দোকান গড়ে উঠেছে।
নিম্নবিত্তদের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে, ফুটপাতে বা বিভিন্ন দোকানের সামনে পোশাক সামগ্রীর সমাহার ঘটেছে। তাদের বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
কসমেটিকস ও ইমিটেশন গহনার দোকান মালিকরা জানান, তাদের ব্যবসা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তবে ঈদের ৪/৫ দিন আগে তাদের ব্যাবসা জমে উঠবে বলে তারা আশা করেন।