জহিরুল ইসলাম শিবলু>
লক্ষ্মীপুর : অপহরণের ৯ দিন পর আড়াই মাস বয়সী শিশু ফারজানা ইয়াসমিন মরিয়মকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণ প্রতাপপুর গ্রামের জনৈকা হনুফা বেগমের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের মূলহোতা মাহিনুর আক্তারকে (২৭) আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাহিনুর জেলার কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের মো. নোমানের স্ত্রী। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ভিকটিম পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মান্দারী ইউপির গন্ধব্যপুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের কন্যা শিশু মরিয়ম জন্মের ৩ দিন পর অসুস্থ্য হলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী রহিমা বেগমের সাথে মাহিনুর বেগম প্রকাশ রুমী বেগমের (২৭) পরিচয় হয়। মাহিনুর রহিমা বেগমকে বোন বলে ডাকেন। এ সুবাধে প্রায় মাহিনুর মোবাইলে রহিমা বেগম এবং তার স্বামী সন্তানদের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
গত ১৯ জুন রবিবার রহিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মাহিনুর প্রকাশ রুমী বেগম। পরদিন (২০ জুন) সোমবার রহিমা বেগমের মেজো মেয়ে পলি আক্তার (৮) ও আড়াই মাসের শিশু মরিয়মকে জামা-কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে মান্দারী বাজার নিয়ে যায়। পরে মান্দারী বাজারের একটি কাপড় দোকানে পলিকে বসিয়ে রেখে শিশু মরিয়মকে নিয়ে পালিয়ে যায় মাহিনুর।
এ ঘটনায় রহিমা বেগমের স্বামী ইব্রাহীম খলিল চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। পরে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী মাহিনুরের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাটকীয় এই ঘটনার মূল হোতা মাহিনুর প্রকাশ রুমী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।