facebook20160627220638ঢাকা: ফেসবুকে বা গুগলে-ইন্টারনেটে ভয়ানক, বীভৎস, গা-গুলানো আর লোমহর্ষক ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছে উগ্রবাদী ও জঙ্গিরা। এসব নিয়ে, এসবকে ঠেকানোর উপায় খুঁজে বের করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর বড়কর্তা ও প্রযুক্তিবিদদের ঘুম হারাম ছিল এতোকাল। অবশেষে সে উপায় খুঁজে পাওয়া গেছে। মানে চাইলেই বদলোকেরা আর যাচ্ছেতাই ভিডিও আপলোড করে দুনিয়াবাসীর রসভঙ্গ করতে পারবে না। একটি সংবাদসংস্থার বরাত দিয়ে খবরটা জানিয়েছে একটা পশ্চিমা দৈনিক।

এই অগ্রগতির কথা সংবাদসংস্থাটি জানিয়েছে এই প্রক্রিয়াটির সঙ্গে ওৎপ্রোত দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে। তারা বের করেছেন এক মোক্ষম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি যে পদ্ধতিতে ফেসবুকে বা ইন্টারনেটের কোথাও কেউ হিংসাত্মক বা ভায়োলেন্ট কোনো ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সাইট থেতে তা মুছে যাবে। সংশ্লিষ্টরা একে বড় এক গন্তব্যে পৌঁছার সঙ্গে তুলনা করছেন।

ইউটিউব ও ফেসবুক এখন এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ ঘটাবে। বিশেষ করে আইসিস বা ইসলামিক স্টেট নামের জঙ্গি গোষ্ঠির ভয়াল বীভৎস ভিডিও বা অনুরূপ কন্টেন্ট মুছে দিতে এই পদ্ধতি বড় এক মুশকিল আসান হয়ে আসছে। প্রথমে পদ্ধতিটা উদ্ভাবন করা হয়েছিল মূলত কপিরাইট-সংরক্ষিত কনটেন্ট শনাক্ত করার জন্য। এ পদ্ধতিতে ‘hashes’ নামের এক ধরনের ডিজিট্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজে বেড়ায় ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো। কোনো কনটেন্টে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট খুঁজে পাওয়া মানে এটি আপত্তিকর হিসেবে শনাক্ত হবে এবং দ্রুত তা মুছে যাবে।

তবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো এখনই নতুন এই মুশকিল-আসান পদ্ধতির ব্যাপারে, কিভাবে এটি তারা প্রয়োগ করবে সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলতে নারাজ। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা কতোটা সফল হবে না হবে এখন সেটা দেখার অপেক্ষা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here