ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহতগাজী হানিফ মাহমুদ, নরসিংদী প্রতিনিধি :: নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আরিফ হোসেন (২৭) নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া আটটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তিনি মারা যান। আরিফ সদর উপজের মাধবদী পৌর এলাকার বিরামপুর মহল্লার হালিম ড্রাইভারের ছেলে। আরিফ হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতির ৯টি মামলার আসামি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে সন্ত্রাসী আরিফ, আজিম ও হাদি নামের তিন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে সৈকারদী এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাঁচদোনা-ডাঙ্গা সড়ক এলাকার সৈকারদী এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফ, আজিম ও হাদি এলোপাথারি গুলি চালায়।

পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে আরিফ দুই পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এঘটনায় আজিম ও হাদি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে আরিফকে গুলিবিদ্ধ আহতবস্থায় একটি বিদেশে পিস্তল,দুই রাউন্ড গুলি ও একটি নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেলসহ আটক করে। পরে পুলিশ আহত আরিফকে আহত অবস্থায় রাত ৩ টার দিকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে আরিফ মারা যায়।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিজানুর রহমান জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস।থায় আরিফ নামের এক রোগীকে পুলিশ নিয়ে এসেছিল। তখন তাঁর জ্ঞানও ছিল না আবার সে অজ্ঞানও ছিল না। একটা মাঝামাঝি পর্যায়ে ছিল। তাঁর দুই হাটুতে দুটি এবং ডান বুকের পিছনে অর্থাৎ পিঠে একটি গুলিবিদ্ধ ছিল। বুকের গুলিটি সম্ভবত ফুসফুসে আটকে ছিল। তাই জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়।’

নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত আরিফ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ৯ টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি হত্যা, চারটি বিষ্ফোরক, একটি ডাকাতিসহ মোট ৯টি মামলা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছে। তাঁর লাশ বর্তমানে সেখানেই রয়েছে। আমাদের লোকজন গেছে। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তাঁর সঙ্গে আরও দুজন সন্ত্রাসী ছিল। তাঁদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here