গফরগাঁওয়ের খালি প্রবেশ পত্রের ছাড়াছড়ি!রবীন্দ্র নাথ পাল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ গফরগাঁও উপজেলার দরগাবাড়ি হাইস্কুল,রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়সহ (কারিগরি শিক্ষা) উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে খালি প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে।

পরে ওইসব পরীক্ষার্থীরা গফরগাঁও পৌর এলাকার বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে পরীক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ের নাম, নিজের নাম, পিতার নাম,মাতার নাম,জন্ম তারিখ,রোল,রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার, সেশনসহ সকল বিষয়ের নামসহ কোড নাম্বার লিপিবদ্ধ করে প্রবেশপত্র পিন্ট করে।

এ সময় কয়েক পরীক্ষার্থী কোন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তা বলতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ (রবিবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দরগাবাড়ি হাই স্কুলের ৮জনসহ পরীক্ষার্থী কলেজ রোডস’ একটি কম্পিউটারের দোকানে অন্তত ২০ পরীক্ষার্থীকে তাদের প্রবেশপত্র তৈরি করতে দেখা যায়।

এ সময় দরগাবাড়ি হাইস্কুলের এএসসি পরীক্ষার্থী রোমান জানান, তার বাবার নাম ফকর উদ্দিন, গ্রাম চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ কান্দাপাড়া গ্রামে। সে জানায় তার প্রকৃত নাম ফকরুল ইসলাম। তাকে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন একটি খালি রঙিন প্রবেশ পত্র দিয়ে বলেছেন তা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে পূরণ করে নিতে।

পরে সে কম্পিউটারের দোকানে এসে তা পূরণ করে পিন্ট করে নেয়। সে আরো জানায়,রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে খালি প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। দরগাবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কয়েকটি খালি প্রবেশপত্র শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ আমাকে উপর চাপিয়ে দিয়েছে।স্কুল টিকিয়ে রাখতে বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশ শুনতে হয়। কোন অনিয়ম-দূর্নীতি বা জাল-জালিয়াতি হয়ে থাকলে তার জন্য বোর্ডের কর্মকর্তারা দায়ী। আমি নির্দোষ।

এ বিষয়ে রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফ আহমেদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব নূরুল ইসলমা শিকদার বলেন,বিষয়টি অবশ্যই অনৈতিক। অভিযুক্ত বিদ্যালয় গুলোর ব্যাপারে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু বলেন,এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে আজ সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অবশ্যই ধরা পড়বে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here