‘পাহাড়ে প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক স্কাই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হবে’এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টা, ঘনকুয়াশা আর প্রচন্ডশীত উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বয়সী আড়াইশ’ নারী-পুরুষ বান্দরবানের পাহাড়ি সড়কপথে নেমে পড়েছিলেন। আন্তর্জাতিক স্কাই ম্যারাথনের ‘নীলসাগর গ্রুপ’ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

জেলায় এই প্রথমবারে এভারেস্ট একাডেমি এবং এ ফর অ্যাডভেঞ্চারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকাল ৮টায় বান্দরবান সদর উপজেলার ওয়াইজংশন এলাকার রামরি পাড়া সড়র থেকে স্কাই ম্যারাথন শুরু হয়েছে। ২১.১ কিলোমিটার পথ দৌঁড়ে অংশগ্রহণকারীগণ বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে এসে ম্যারাথন শেষ করেন।

প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগ থেকে ৮০ জন রানার ও ৬ জন বিদেশী এবং স্থানীয় দেড়শতাধিক আগ্রহীসহ বিভন্ন বয়সী ২৫০জন এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় পুরুষ প্রথমস’ান করেছেন বরিশালের ফিরোজ খান ও দ্বিতীয় হয়েছেন ময়মনসিংহের মো.ফরিদ এবং তৃতীয় হয়েছেন ঢাকার রফিকুল ইসলাম।

মেয়েদের মধ্যে প্রথমস্থান হয়েছেন ঢাকার মেরুনা ও দ্বিতীয় হয়েছেন নেদারল্যান্ডের আর্দুসা হেরিস তেরেসা এবং তৃতীয় হয়েছেন যশোরের ইতি।

প্রতিযোগিতায় প্রথম বিজয়ীকে নগদ ৩০ হাজার,দ্বিতীয় বিজয়ীকে ২০ হাজার এবং তৃতীয় বিজয়ীকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। ম্যারাথন শেষে বিকেল বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান,পিঠা উৎসব,আতশবাজি প্রজ্জ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.ফখরুল আহসান পিএসসি। দিনব্যাপি এই আয়োজনে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার। এছাড়াও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এবং নবনির্বাচিত পৌরমেয়র ইসলাম বেবী উপসি’ত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রথম এভারেষ্ট বিজয়ী এবং বান্দরবানে আন্তর্জাতিক স্কাই ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির সহসভাপতি মুসা ইব্রাহিম জানান,বান্দরবানে অনুষ্ঠিত ম্যারাথন দৌড়ে ৬জন বিদেশীসহ বিভিন্ন জেলার ৮০জন এবং বান্দরবান জেলার দেড়শতাধিক যুবক-যুবতীসহ মোট ২৫০ জন অংশ করেন।

বান্দরবানকে বিশ্ব দরবারে আরেকধাপ এগিয়ে নিতে এই ম্যারাথন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে এবং এতিমধ্যেই এভারেষ্ট একাডেমী থেকে তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন শতাদিক যুবক-যুবতি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য জেলাগুলোর সুউচ্চ পাহাড়-পর্বতের শৃংখে আরাহেন করেছেন। মুছা ইব্রাহিম বলেন, এখন থেকে থেকে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে এ বান্দরবানের পাহাড়ে। এ বছর এ জেলায় দেড়শতাধিক ম্যারাথনিষ্টকে নিয়ে ম্যারাথন দৌড়ের সুচনা করা হলেও আগামী বছর থেকে এ সংখ্যা আরো অনেক গুন বাড়বে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here