সরকারী শিশু পরিবার থেকে শিশু উধাওসৈকত দত্ত, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুর জেলা সরকারী শিশু পরিবার থেকে আরমান খালাসী নামে ৫ বছর বয়সী এক শিশু হারিয়েছে। গত শনিবার সকালের নাস্তা খাওয়ার পার থেকে ওই শিশুটিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার হারানো শিশুর মা আসমা বেগম সরকারী শিশু পরিবারে এসে সন্তানের সন্ধান করায় বিষয়টি প্রকাশ পায়। কর্তৃপক্ষ শিশুর কোন সন্ধান দিতে পারেনি। পালং মডেল থানায় সাধারণ ডাইরীর প্রস্তুতি চলছে।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চাকধ গ্রামের মৃত রুহুল আমিন খালাসীর ৫ বছর ১ মাস বয়সী ছেলে আরমান খালাসীকে শরীয়তপুর সরকারী শিশু পরিবারে ভর্তি করা হয়। ১৫ অক্টোবর’১৫ সন্তানকে ভর্তি করে মা আসমা বেগম কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়।

সরকারী শিশু পরিবারের বড় ভাই ফজলুল হকের তত্ত্ববধায়নে থাকাবস্থায় গত শনিবার শিশুটি হারিয়ে যায়। অফিস সূত্রে জানা যায় বড় ভাই ফজলুল হক বেপারী বৃহস্পতিবার থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছে।

সরকারী শিশু পরিবারের অন্যান্য শিশুরা জানায়, হারিয়ে যাওয়া আরমান ও আক্তারুজ্জামান প্রিতম শিশু পরিবার ভবনের তৃতীয় তলার ৪নং কক্ষে থাকতো। শনিবার সকালে প্রিতম শিশু আরমানকে দাঁত ব্রাশ না করার কারণে মারধর করায় শিশু আরমান পলিয়ে যায়। তখন থেকেই শিশু আরমানের কোন সন্ধান করেনাই কর্র্তৃপক্ষ। এমন কি আরমান নিখোঁজের বিষয়টি তার মাকেও জানায়নি।

হারিয়ে যাওয়া শিশু আরমানের মা আসমা বেগম জানায়, তার স্বামী ২ ফেব্রুয়ারী’১২ সালে দূর্ঘনটায় মারা যায়। তখন আরমানের বয়স দুই বছর। ছেলের বয়স ৫ বছর পূর্ণ হলে গত মাসে তাকে সরকারী শিশু পরিবারে ভর্তি করে। ১ মাস ৭ দিনের মাথায় তার সন্তান হারিয়ে যায়। শনিবার সকালে ছেলে হারিয়ে যাওয়ার পরেও বিষয়টি তাকে জানায়নি কর্তৃকপক্ষ। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে শিশু পরিবারের ছাত্র আল আমিনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারে। ছেলে হারিয়ে যাওয়ার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আরমানের মা।

সরকারী শিশু পরিবারে শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ শিকদার জানায়, আজ (গতকাল) ছাত্র হাজিরার সময় আরমানকে পাওয়া যায় নাই। তখন থেকে আরমানকে খোঁজাখুঁজি করছি। ভারপ্রাপ্ত উপ-তত্ত্বাবধায়ক কর্মস্থলে নাই। তার সাথে আলাপ করে থানায় সাধারণ ডাইরী করবো।

পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, সরকারী শিশু পরিবার থেকে শিশু আরমান হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। শিশু আরমান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার মা আসমা বেগম থানায় সাধারণ ডাইরী করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here