১. বিল, বক্স এবং একসেরসরিজ : অন্তত চোরাই মোবাইল নয়, নিশ্চিত হতে মোবাইলটি কেনার বিল চাইতে পারেন। তা ছাড়া ব্যবহৃত মোবাইলের সঙ্গে যদি হেডফোন বা চার্জার থাকে, তবে আপনি তা পেতে পারেন। এ সব পেলে আপনি সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন।
২. র্যাম : আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে ২ জিবি র্যাম অতি সাধারণ হয়ে গেছে। তবে ভালো ব্র্যান্ডের ২ জিবি র্যামের স্মার্টফোনের দাম একটু বেশি। বাজেট ভালো থাকলে ২ জিবি র্যাম সমৃদ্ধ মোবাইল নেওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া সাধারণ ব্র্যান্ডের মোবাইল হলে ২ জিবি র্যাম অবশ্যই নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৩. চুরির নয়তো? : একজন ক্রেতা হিসেবে আপনার জানা দায়িত্ব, মোবাইলটি চুরি করা হয়েছে কিনা। জানতে *#06# ডায়াল করে মোবাইলটির আইএমইআই নম্বরটি জেনে নিন। এবার IMEIdetective.com বা অন্যান্য ফোন ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি দেখেন যে, আইএমইআই নম্বরটি ট্র্যাকিং করা আছে, তবে বুঝে নেবেন মোবাইলটি চুরি করা হয়েছে।
৪. হার্ডওয়্যার দেখে নিন : এটা সাধারণ বিষয়। আপনি নিজে মোবাইলটির দৈহিক অবস্থা ভালো করে দেখে নেবেন। এটি ঠিকমতো চার্জ হয় কিনা অথবা ডেটা ক্যাবল কাজ করে কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা করে নিন। তা ছাড়া সিম এবং কার্ডস্লটগুলো কাজ করছে কিনা তাও দেখে নিতে ভুলবেন না।
৫. অনলাইনে পেমেন্ট : ভালো হয় যদি অনলাইনে কেনেন এবং পেপাল-এর মতো নিরাপদ মাধ্যমে দাম পরিশোধ করেন। এতে সুবিধা হলো, পরে ভালো না লাগলে আপনি মোবাইল ফেরত দিতে পারবেন।
৬. ফেসবুকে কিনুন : পণ্য কেনা-বেচার ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। যে সব গ্রুপের মাধ্যমে এসব পণ্য কেনা-বেচা হয়, সেখানে পণ্যে গুণগত মান পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। কাজেই আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
৭. ওয়ারেন্টি আছে? : অনেকেই ওয়ারেন্টিসহ মোবাইল কেনার পর বিক্রি করে দেন। তখন ওয়ারেন্ট কার্ডটি নিয়ে নেবেন। আর যদি ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যায়, তবে করার কিছু নেই। সে ক্ষেত্রে ওপরের পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের চেষ্টা করবেন।