তানসেন আলম, বগুড়া: কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছে জাল টাকা চক্র। বুধবার তাদেরই দুই সদস্য ধরা পড়েছে বগুড়া গোয়েন্দা পুরিশের হাতে। পুলিশ তাদের কাছেথেকে ১শ টি ৫শ টাকার জাল নোট পেয়েছে। এ ঘটনায় ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের কাছেথেকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জেলার দুপচাঁচিয়ার চৌমহনী বাসষ্ট্যান্ডে যায়। ফোনে জাল টাকা চক্রের সাথে ৩লাথ টাকা ক্রয়ের কথা হয়। প্রতি লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম ঠিক হয়। কথা অনুযায়ী জাল চক্রের সদস্য দুপচ্বাচিয়ার বনতেতুলিয়া উত্তর পাড়ার মৃত আশরাফ মন্ডলের পুত্র মোঃ রাসেল মন্ডল(৩০) ও একই গ্রামের মোফজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ রম্নবেল (২২) জাল টাকা নিয়ে এলে তাদের টাকাসহ হাতেনাতে ধরে ফেরা হয়।
বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোঃ আমিারম্নল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ওই ২জন সহ ৫জনকে অসামী করে গোয়েন্দা পুলিশের এস আই ফিরোজ সরকার দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে ৭দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা ব্যবসায়ী চক্র আগে থেকে মাঠে নেমেছে।
আসামী মোঃ রাসেল মন্ডল জানায়, সে এক সময় হকারী, কান পরিস্কারের ও বাসের হেলপারের কাজ করতো। হকারী করার সময় তার পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর আব্দুর রহমানের সাথে। সে গত ৬ মাস যাবৎ এ জাল টাকা বিক্রির সাথে জড়িত। এর আগেও সে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট বিক্রি করেছে। মঙ্গলবার উক্ত আব্দুর রহমান ৫শ টাকার ১শটি জাল নোট রাজশাহী থেকে তাকে বাকীতে প্রদান করে। মোঃ রাসেল জানায়, ৫০ হাজার টাকার জাল নোট বিক্রি করে সে ২/৩ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। ধরা পড়া টাকা গুলো পাইকারী হিসেবে ১৫ হাজার টাকায় এক বাস চালকের কাছে বিক্রি করার কথা ছিল।
রম্নবেল জানায়, মঙ্গলবার রাতে রাসেল এক হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে তার কাছে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট রাখতে দিয়েছিল। পাটির কাছে দরদামে ঠিক হলে ফোনে আমাকে টাকা আনতে বলে। টাকা নিয়ে এলে চৌমহনী বাসষ্ট্যান্ডে পুলিশের হাতে দু’জনই গ্রেফতার হই। সে এই প্রথম এ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়।