সরোজ দত্ত, পটুয়াখালী: ঘুর্ণিঝরটি কোমেন পটুয়াখালী কলাপাড়া পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কিঃমিঃ দক্ষিন পুর্ব দিকে সমুদ্রের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। উপকুল এলাকা থেকে দুরে থাকলেয় তার ঝর হাওয়া পটুয়াখালী সহ উপকুলিয় আঞ্চলে তার কোন প্রভাব পরেনি। তবে পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার কল্যান কলস গ্রামে নুরুল ইসলাম (৫২) গাছের চাপায় একজন নিহত হয়েছে।
খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস এর ইলেকট্রনিক ইঞ্জীনিয়ার প্রদিপ কুমার সাহা জানায়, ঘুণিঝরটি খেপুপাড়া থেকে ১২৫ কিঃ মিঃ দুরে আছে। নদ নদীর পানি স্বাভাবিক থাকলেয় যে কোন সময় ৫ থেকে ৬ ফুট বেরে যেতে পারে। তবে সগর উত্তাল রয়েছে ঘুর্নিঝরটি দুপুরের পরে কুয়াকাটায় আঘাত হানতে পারে। যদি কুয়াকাটার দিকে অগ্রসার হয় তা হলে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিঃমিঃ বেগে আঘাত হানতে পারে বলে জানান তিনি। তবে বিকাল ৫ টা নাগাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে কোন ধরনের কোন ঝর বয়ে যায়নি।
কুয়াকাটার সাগরের পার সহ উপকোলীয় এলাকায় সকাল থেকে মানুষের মনে আতংক বিরাজ করছে। মহিপুর মৎস্য বন্দরের সভাপতি আনছার মোলস্না জানান, সাগরের যত মাছ ধরার ট্রলার ছিল সেগুলো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে শুধু আমাদের এলাকার নয় বিভিন্য যায়গার শত শত ট্রলার আমাদের মহিপুর আলিপুর মৎস্য বন্দরে নিরাপদে আছে। এদিকে সাগর পারের ছোট ছোট ট্রলার গুল জীবনের ঝুকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। এদিকে কুয়াকাটার টুরিষ্ট পুলিশ হ্যান মাইক দিয়ে পর্যাটকদের সাগরের না নামার জন্য মাইকিং করে যাচ্চে। এবং ঘুর্ণিঝর কোমেন মোকাবেলায় টুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তিুতি রাখা হয়েছে। তবে সাগর পারে কোন রেডক্রিসেন্টের কোন কর্মিকে দেখা যায়নি। কোমেন মোকাবেলায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক সকাল সারে ১০ টায় এক জরুরী সভা করেছে।