প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিবার্চন কমিশন পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
সোমবার সকালে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাই। আলোচনার মাধ্যমে তাদের সুবিবেচনা প্রসূত মতামত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই অনুসন্ধান কমিটি প্রত্যেক কমিশনারের পদের বিপরীতে তিন জনের নাম প্রস্তাব করবে। পরে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে।
মেনন বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন এবং তিনি বিষয়টি সরকারকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, রাষ্ট্রপতি দলটির কাছে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চেয়েছেন। সংলাপ চলাকালেই দলের প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডাকতে পারেন কিনা- বিরোধী দলের এমন প্রশ্নের বিষয়ে মেনন তাদেরকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ওই অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতি এ সংলাপ আহ্বান করেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ডেস্ক রিপোর্ট