ঢাকা :: বিয়ের মাত্র আট মাস। এরই মধ্যে বৈবাহিক জীবনের ইতি টানলেন কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান ও মডেল সুজানা।
সাড়ে তিন বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১ আগস্ট মডেল সুজানাকে বিয়ে করেন হৃদয়। এটি ছিল তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের তিন মাস পরেই তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়। তাদের মধ্য বনিবনা না হওয়ায় মাস চারেক ধরে আলাদা থাকছেন হৃদয় খান ও সুজানা।
আজ ৬ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার মণিপুরীপাড়ায় একটি কাজি অফিসে গিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন হৃদয় খান। আজকের মধ্যেই সুজানাও তালাকনামা স্বাক্ষর করবেন বলে জানা যায়।
স্বাধীনভাবে কোনো কাজ করার অধিকার ছিল না সুজানার। নানান বিষয়ে সুজানাকে বাধা দিতেন হৃদয়। এমন অভিযোগ করেছেন সুজানা। তবে বিষয়টিকে মানিয়ে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
সুজানা জানিয়েছেন, এজন্য অনেক ছাড়ও দিয়েছেন, তবুও বিচ্ছেদ কখনোই চাননি। চেয়েছিলেন একটি সমাধানের।
হৃদয় খানের একটি গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন সুজানা। এর পর থেকেই সাত বছরের বড় সুজানাকে ভালো লেগে যায় হৃদয় খানের। সেই ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। তিন বছরের সাধনার পর হৃদয় খানের প্রেমের ডাকে সাড়া দেন সুজানা। অতঃপর বিয়ে।
২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। তার আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামের আরেকজন মেয়ের সঙ্গে।
অন্যদিকে ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদেকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তার সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস।