ষ্টাফ রিপোর্টার :: সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার। দেশের এই কৃতি ক্রিকেটার দেশের সেরা অ্যাথলিটও বটে। আজ মঙ্গলবার তার জন্মদিন। ২৮ পেরিয়ে আজই ২৯ এ পা রেখেছেন সাকিব।
বিশ্বকাপের শুরুতেও ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সেরা অল রাউন্ডার ছিলেন সাকিব। এখন অবশ্য ওয়ানডেতে তিনি দ্বিতীয় সেরা অল রাউন্ডার। টেস্ট ও টিটোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা অল রাউন্ডার তিনিই। এবারের বিশ্বকাপে ভালোই পারফরম্যান্স তার। তবে যে সাকিবকে সবাই চেনেন সেই সাকিবের মতো সেরা পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে আসেনি। বিশ্বকাপ আসরে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন।
৩৯.২০ গড়ে ১৯৬ রান করেছেন। ফিফটি করেছেন ২টি। সেরা স্কোর ৬৩। আর বল হাতে ৩৭.২৫ গড়ে ৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেরা ফিগার ৫৫ রানে ৪ উইকেট।
১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ মাগুরায় জন্ম সাকিবের। বাবা মাশরুর রেজা স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলেকে ফুটবলার বানানোর। কিন্তু ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেটে আগ্রহ বেশি ছিলো সাকিবের। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি থেকে ক্রিকেটের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেন সাকিব। বাঁ হাতি এই খেলোয়াড় একই সাথে ব্যাটসম্যান ও স্পিনার। দুই ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা সাফল্য সাকিবের।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় সাকিবের। একই বছর টিটোয়িন্টে অভিষেক হয় দেশের মাটিতে। আর পরের বছর ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক।
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ধারাবাহিক সাফল্য সাকিবের। ১৪৭ ওয়ানডে খেলেছেন সাকিব। ৩৪.৭৭ গড়ে ৪১৭৩ রান তার। সেঞ্চুরি ৬টি। আর উইকেট শিকার ১৯০টি। ৩৭ টেস্ট খেলেছেন। ৩৮.৩১ গড়ে ৩ সেঞ্চুরিতে ২৫২৯ রান সাকিবের। উইকেট ১৪০টি। ৩৬টি টিটোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ৭৫২ রান করেছেন ১২৮.১০ স্ট্রাইক রেটে। ফিফটি ৪টি। উইকেট নিয়েছেন ৪৪টি।
দেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা সাকিবের। কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল এ খেলেছেন। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আয়োজিত ঘরোয়া টি টোয়েন্টি লিগেও।
তার মতো এত ভিন্ন ভিন্ন দেশের ক্রিকেট লিগে খেলার অভিজ্ঞাতা বাংলাদেশের আর কারো নেই। বাংলাদেশের এই গৌরব দেশের সেরা করে যান, নিজেকে নিয়ে যান আরো উচ্চতায়, এটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশের মানুষের।