স্পোর্টস ডেস্ক :: সামনে ৩১৯ রানের টার্গেট। বড় টার্গেটই। কিন্তু এই টার্গেট তাড়া করে বাংলাদেশ পেছনে পড়েনি কখনোই। তারপরও বল ও রানের হিসেবটা ছিল। শেষ ১০ ওভারে ৬২। ৩০ বলে ৩০। আর ২৪ বলে ১৮। এমন হিসেব সাকিব আল হাসান আর সাব্বির রহমান মিলে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় করে ফেললেন।
তাও ১১ বল হাতে রেখে। নতুন রেকর্ড গড়লো টাইগাররা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এখন টাইগারদের। আর এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা। ৩১২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠে গেলো টাইগাররা। ৬ উইকেটের জয় শেষ পর্যন্ত ৩২২ রান করে।
সাকিবের বাউন্ডারির সাথে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল টাইগাররা। নেলসনে জয় তুলে আনা সাকিব ৪১ বলে ৫২ এবং সাব্বির ৪০ বলে ৪২ রানে অপরাজিত। প্রবল হুঙ্কারে জয় তুলে নিলো টাইগাররা।
ইনজুরিতে পড়ায় তামিমের সাথে ইনিংস ওপেন করতে পারেননি এনামুল হক। তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। আর তামিমের সাথে ইনিংস ওপেন করেন সৌম্য। কিন্তু দলের ৫ রানের সময় সৌম্য (২) বিদায় নেন। এরপর তামিম ও মাহমুদুল্লার ব্যাটিংয়ে সঠিক পথের দিকেই এগোতে থাকে টাইগাররা।
দুজনই ফিফটি করেন। হয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা উইকেট জুটির রেকর্ড। ১৩৯ রানের জুটিটা ভেঙেছেন ওয়ার্ডল। তার বল মাহমুদুল্লার পায়ের পাতায় লেগে তাকে যন্ত্রণাকাতর করে স্টাম্প ভেঙে দেয়। দুর্ভাগ্যের এই আউটের আগে ৬২ রান করেছেন মাহমুদুল্লা। তামিম চমৎকার ব্যাট করেছেন।
বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু ৩২তম ওভারের ডেভের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়ে সেঞ্চুরি মিস করেছেন। ৯৫ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। মুশফিকের সাথে তার ৫৭ রানের জুটিটা ভেঙেছে। এরপর সাকিব ও মুশফিকের জুটির কাছে অনেক আশা ছিল টাইগারদের।
কিন্তু ৪২ বলে মুশফিকের ৬০ রানের ইনিংসটি শেষ হয় ইভান্সের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। এরপর সাকিবের সাতে সাব্বিরের জুটি হয়। আর বাংলাদেশ হাসে শেষ হাসি। ম্যাচের সেরা স্কটল্যান্ডের কোয়েতজার ক্যারিয়ার সেরা রান করেছেন। সহযোগী সদস্য দেশের খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বড় রানের স্কোরটাই করেছেন ওপেনার কোয়েতজার।
তার ১৫৬ রানের ওপর ভর করে বিশাল রান করতে পেরেছে স্কটল্যান্ড। মাশরাফি আঘাত করেছিলেন শুরুতে। এরপর আঘাত হানেন তাসকিন। আর তাতে ৩৮ রানে দুই উইকেট হারায় স্কটিশরা। ওখান থেকে মাচানের সাথে ৭৮ রানের জুটি গড়েন কোয়েতজার। মাচান সাব্বিরের শিকার হন ৩৫ রান করে।
এরপর অধিনায়ক মমসেনের সাথে ১৪১ রানের জুটি গড়ে তোলেন কোয়েতজার। ১০৩ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন কোয়েতজার। এরপর আরো আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। মমসেন ৩৯ রান করে আউট হলেও বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যান কোয়েতজার। ১২৯ বলে ১৫০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
৪৫তম ওভারের সময় তিনি নাসিরের শিকার হবার সময় দলের রান ২৬৯। ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো কোয়েতজারের ইনিংস। তার বিদায়ের পর বারিংটন (২৬), ক্রসরা (২০) দলের সংগ্রহ তিন শ পার করে দেন। তাসকিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন নাসির।