ইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: জন্মনিয়ন্ত্রণে নারীদের জন্যে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের ব্যবহার বহু আগে থেকেই চলে আসছে। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্যে বহুল প্রচলিত পদ্ধতিটি হলো কনডমের ব্যবহার।
কিন্তু এবার পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুরুষদের উর্বরতারোধক পিল নিয়ে অন্তত দুটো প্রজেক্ট কাজ করে যাচ্ছে।
পুরুষের শুক্রাণু পরিণত হওয়ার আগের অবস্থায় এর পেছনে লেজসদৃশ অংশ ও সামনের দিকে মাথার মতো গোলাকার অংশ হয়। এইচ২-গ্যামেনডাজোল-এর কাজ হবে এসব শুক্রাণুকে পরিণত হতে বাধা দেওয়া।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব কানসাস মেডিক্যাল সেন্টার-এর বায়োলজিস্ট জোসেপ টাশ বলেন, যদি শুক্রাণু না থাকে, তাহলে নারীর ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ নিয়ে ২০০১ সাল থেকে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
ওষুধের আরেকটি উপাদান জেকিউ১। এটি পুরুষের বীর্য উৎপাদনে বাধা দেবে। হার্ভার্ডের ডানা-ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে গবেষক ব্রান্ডার এবং তার দল জেকিউ১-এর খোঁজ পান। এটি ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষে ব্রোমোডোমেন প্রোটিন বিস্তারে বাধা দেয়। এতে করে নতুন করে কোষ গজায় না।
বীর্য উৎপাদনে কাজ করে এমন ব্রোমোডোমেন প্রোটিনের নাম বিআরডিটি। দেখা গেছে, জেকিউ১ এই প্রোটিন বিস্তারেও বাধা দেয়। কাজেই এটি যে সব কোষ বীর্য উৎপাদন করবে, তাদের নিষ্ক্রিয় করে দেবে।
ইতিমধ্যে ইঁদুরের কোষে জেকিউ১ প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বাজারে পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রক পিল আসতে আরো কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস