মঙ্গলে এসিডপূর্ণ পানির নিশানাইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: মঙ্গল গ্রহ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। সম্প্রতি তারা মার্স গ্রহের একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়েছে। বিশেষ যান রোভার এর মাধ্যমে সেখানে একটি পাথর পরীক্ষার সুযোগ মিলেছে। দেখা গেছে, পাথরটি ধারণার চেয়ে অনেক বেশি এসিডিক এবং এটি প্রাচীন মঙ্গলের বৈশিষ্ট্য বহন করছে।

ওই রোভারের মাধ্যমে নাসা হালকা ড্রিলিং পদ্ধতিতে পাথরের অভ্যন্তরের নমুনা সংগ্রহ করেছে। আগে থেকেই ওই পাথরটি নজর কাড়ে নাসার বিজ্ঞানীদের যার নাম ‘মোজাভি ২’। টানা দুই বছর ধরে তারা মঙ্গলের ‘মাউন্ট শার্প’ এর নানা অংশ পরীক্ষা করছেন। পাঁচ মাস আগে পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছে রোভার।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো পাহাড়ের পাদদেশের নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় রোভার। অ্যারিজোনার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউট এর ডেপুটি প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটোর ডেভিড ভ্যানিম্যান বলেন,  মোজাভি ২ পাথর থেকে সংগৃহীত নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয় এবং এর খনিজ পদার্থ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়।

দেখা যায়, এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জারোসাইট রয়েছে। এটি এসিডপূর্ণ পরিবেশের এমন এক অক্সিডাইজড মিনারেল যাতে আয়রন এবং সালফার থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার মোজাভে মরুভূমির কনফিডেন্স হিলস এর পাথরেও জারোসাইট রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলে এর পরিমাণ অনেক বেশি।

এখন প্রশ্ন হলো, মঙ্গলের মোজাভে ২ এর জারোসাইট এসিডিক পানির নিদর্শন হলে পানি কোথায়? পানি কি প্রথমেই শুষে নিয়েছে পাহাড়? নাকি পরে? জারোসাইটের সন্ধান পেয়ে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে ধারণা করতে শুরু করেছেন যে, এখানে লেক ছিলো এবং পাহাড় তা ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিয়েছে।

নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরোটরির অংশ হিসেবে রোভার দল হালকা ড্রিলসহ রোভার পরিচালনা করছে মঙ্গলে। এক টন ওজনের এই রোভারকে তারা পাহরাম্প হিলস এর মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর উঁচু-নিচু পথের সব চিত্রই ধারণ করছে বিভিন্ন কোণ থেকে জুড়ে দেওয়া শক্তিশালী ক্যামেরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here