monikaইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: মনিকার (ছদ্ম নাম) একমাত্র মেয়ের বয়স ১৭। সদ্য কলেজে যেতে শুরু করেছিল। এক দিন বাড়িতে একলা থাকার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির কাকা।

যাঁকে সে ছোটবেলা থেকেই চেনে, জানে। সেই এমন কাণ্ড করে বসল। আর এই ঘটনাই ৫২ বছরের মনিকার স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনল দগদগে শৈশবের ছবি। প্রতিবেদন কলকাতার পত্রিকা এই সময়ের।

মনিকা জানান, তাঁদের বাড়ি ছিল জামাইকার একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকতের ধারে। তাঁরা তিন ভাই-বোন। যখন বয়স এগারো পেরিয়েছে, হঠাত্‍‌ই এক দিন তাঁদের একান্ত পরিচিত বাবাকে অন্য রূপে আবিষ্কার করেলেন তিনি।

রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাবা তাঁকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর ঘরে। সেখানেই প্রথমবার ধর্ষিতা হন তিনি। এর পর থেকে চলতে থাকে ক্রমাগত ধর্ষণ। শুধু তিনি নন, তাঁর বোন যখন একটু বড় হয়, তাঁকেও ধর্ষণ করেন তাঁদেরই বাবা!

মনিকার কথায়, ‘আজ এত দিন পরেও মনে পড়ে সে দিনগুলি। বয়স যখন ২৩, তখন এক দিন মাকে গিয়ে সব জানাই। খুব কষ্টও হয়েছিল জানাতে।

কিন্তু মা কিছুই করলেন না। শুধু বললেন, আমি চাই না তোমাদের বাবা বাড়ি থেকে যাওয়ার পর বাড়িতে অন্য পুরুষের প্রবেশ ঘটুক। তিনি নাকি আগে থেকেই সব জানতেন। পাশের বাড়ির এক মহিলা এক দিন জানালা থেকে দেখে ফেলেন আমাদের। মাকে জানান সে কথা। কিন্তু জানিয়েই বা লাভ কি হবে।’

ঘটনার জেরে মানসিক রোগী হয়ে যান তিনি। মনোবিদের কাছে গিয়ে রীতিমতো চিকিত্সাও করিয়েছিলেন। মনিকা আরও জানান, মনোবিদের কাছে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর সহ্গেই এমন ঘটনা প্রথম নয়, আরও অনেকে রয়েছেন যাঁরা একই ভাবে নিকটাত্মীয়দের হাতে ধর্ষিতা হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘এক সময় যৌনতা শব্দটার প্রতিও ঘৃণা জন্মে গিয়েছিল।। বিয়ের পর পরিস্থিতির বদলে জীবন খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু নিজের মেয়েই ফের একই অভিজ্ঞাতার মধ্যে দিয়ে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here