ষ্টাফ রিপোর্টার :: আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেলেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি। সেখানে কয়েক মিনিট থাকার পর ফিরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার রাত প্রায় পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবার সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসার পরও বিএনপি কার্যালয়ের গেইট বন্ধ রাখায় তিনি ফিরে গেছেন। এটি শিষ্টাচার বর্হিভূত।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।
এর আগে খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস জানান, চেয়ারপারসন অসুস্থ থাকায় ইনজেকশন দিয়ে তাকে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ও তার আশপাশ এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে খালেদা জিয়ার শেষ কথা হয় ২০০৯ সালের মে মাসে।
শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেই সময় দুই নেত্রীর মধ্যে অল্প কিছু কথা হয়।
এরপর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে দুই নেত্রী উপস্থিত থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। ২০১৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শোক জানাতে বঙ্গভবনে যান দুই নেত্রী। সেই সময়ও তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।