তানসেন আলম,জেলা প্রতিনিধি
ইউনাইটেডনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বগুড়া : আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বগুড়ার ধুনটে তাবলিগ জামাতের তিন দিন ব্যাপি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমা। শনিবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের বিশাল ময়দানে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা মোহাম্মদ হুসাইন সাহেব। ইজতেমায় দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, ও গুনাহ্ মাফের জন্য আল্লাহ্র দরবারে মোনাজাত করা হয়। দীর্ঘ ১৫ মিনিটের মোনাজাতের সময় লাখো ধর্মপ্রান মুসল্লিগণের কান্না ও আমিন আমিন ধ্বনীতে মুখরিত হয় ইজতেমা প্রাঙ্গন। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্বাবধায়নে গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর উদ্বোধনী আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। ইজতেমা শুরম্নর এক দিন আগেই মুসল্লিদের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ইজতেমা ময়দান। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া, টিউনিশিয়া, আফ্রিকা, মরোক্ক এবং দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসল্লিগণ ইজতেমায় অংশ গ্রহন করেন। মুসল্লিগণ তিন দিন ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করে আলস্নাহ্র ইবাদত বন্দেগী ও নবী রাসুলের তরিকা সহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওলামায়ে একরামগনের বয়ান শোনেন। শুক্রবার লক্ষাধিক মুসল্লিগণ ইজতেমায় জুম্মার নামাজ আদায় করেন। শনিবার আখেরী মোনাজাতের দিন ইজতেমায় মুসলিস্নগনের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাড়ীঘর গুলোতে মহিলারা আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে সমাবেত হয়। আখেরী মোনাজাতের পূর্বে হেদায়েতের বয়ান করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব। তিনি তাঁর বয়ানে বলেন, আলস্নাহ এবং আলস্নাহ রাসুলের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী দ্বীনের পথে চলতে হবে। সেই জন্য ত্যাগ স্বীকার করে আলস্নাহ্র রাসত্মায় আমাদের জান ও মাল কোরবানি দিতে হবে। ইজতেমার শেষ দিন শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে বয়ন করেন কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা মাকফুজুর রহমান।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমা আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই ইজতেমা শেষে মুসল্লিগন দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতের কাজের জন্য ১৮টি জামাত বন্দি হয়ে ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহনের লক্ষে রওনা দিয়েছেন।