ছাদেকুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি
ইউনাইটেডনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
গাইবান্ধা : চাঁদাবাজির জন্য অপহরণ করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের ৪ বছর বয়সী শিশু শুভ হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মামলার বাদি মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরের জন্য গত ২ ডিসেম্বর পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন।
ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আদালতে তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে সঠিকভাবে মামলার তদন্ত করছে না। তারা রাজনৈতিক কারণে প্রভাবিত হয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে।
তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করে সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া দরকার।মামলার বাদি আশেক আলী মাস্টার বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক ভুমিকা রাখে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ আমার ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাককে মামলায় আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছে। পুলিশ আসামিদের অভিভাবকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার ভাইকে আসামি করার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। ফলে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলে আমরা সঠিক বিচার পাবো না বলে আশংকা করছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের অভিযোগ ভিত্তিহীন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কবির মিয়া ও লাভলু মিয়াকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। তারা জিঞ্জাসাবাদে অপহরণ ও হত্যার সাথে বাদি আশেক আলী মাস্টারের ভাই আব্দুর রাজ্জাকের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এছাড়া তারা আদালতেও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাজ্জাকের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।প্রসঙ্গত গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বালাপাড়া গ্রামের আশেক আলী মাষ্টারের ছেলে শুভকে বাড়ির উঠান থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
পরে দুর্বৃত্তরা শুভর বাবার কাছে মুঠোফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে শুভকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এই ঘটনায় শুভর বাবা আশেক আলী মাষ্টার বাদি হয়ে ওইদিন সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি ৯ সেপ্টেম্বর রাত আটটায় বালাপাড়া গ্রামের বিল থেকে শিশু শুভর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা আশেক আলী মাস্টার বাদি হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।