শেখ মুজিব কথা রাখেননি বলেই জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক: নিউ ইয়র্কে নোমানবাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, শেখ মুজিব যদি সেদিন চার খলিফার কথামত টেপ রেকর্ডারের মধ্যেও স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে যেতেন, তাহলে জিয়াউর রহমানকে কষ্ট করে চট্টগাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে হত না।

 

 

 

শুধু চার খলিফার কথাই তিনি উপেক্ষা করেছেন তা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে গ্রেফতার হবার ভয়ে তিনি তাজউদ্দিন আহমদের কথাও রাখেননি।

 

 

গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে বিএনপির সিনিয়র  ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০তম জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রস্থ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

 

 

জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোঁরায় তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরিষদের সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদের সভাপতিত্বে এবং সা. সম্পাদক জাকির এইচ হাওলাদার ও যুগ্ম সা.সম্পাদক বদরুল হক আজাদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ইলিয়াস আহমেদ মাষ্টার,অধ্যাপক দেলাওয়ার হোসেন, চেয়ারপার্সনের বিশেষ উপদেষ্টা ও বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী, কেন্দ্রিয় জাসাসের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপি নেতা আজহারুল হক মিলন, শরাফত হোসেন বাবু,শামসুল ইসলাম মজনু,আব্দুস সবুর, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, রফিকুল মাওলা, কাজী আজম, সৈয়দা মাহমুদা শিরীন, এমদাদুল হক কামাল, আজাদ বাকির ও মাওলানা আতিকুর রহমান।
        
প্রধান অতিথি নোমান আরও বলেন, কীভাবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছিল এইচটি ইমাম তা পরিস্কার করে দিয়েছেন। ঐ অগণতান্ত্রিক নির্বাচন যেমন বিএনপি মেনে নেয়নি, বাংলার মানুষও মেনে নেয়নি। সম্পূর্ণ অবৈধ এই নির্বাচনে জয়ী বর্তমান সংসদ অবৈধভাবে দেশ চালাচ্ছে।
শেখ মুজিব কথা রাখেননি বলেই জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক: নিউ ইয়র্কে নোমানঅন্যদিকে জেল-জুলুমের মাধ্যমে বিএনপি নেতা-কর্মিদের উপর চালাচ্ছে নির্যাতন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে নোমান বলেন, তারেক রহমান যে তরুণ বয়সে রাজনীতি শুরু করে দেশের মানুষের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সেই বয়সে শেখ হাসিয়ান রাজনীতি শুরুই করেননি। তাই তাঁর উপর আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের এত হিংসা ও ক্ষোভ। তাঁর জনপ্রিয়তা ঠেকাতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামীলীগসহ বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা। তাই আজকে  ‘এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ স্লোগানের পাশাপাশি বিএনপি কর্মিদের আরেকটি স্লোগান বলত হবে ‘এক তারেক বিদেশে, লক্ষ তারেক বাংলাদেশে’।
অনুষ্ঠানে তিনি এইচটি ইমাম ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিচার দাবি করেন। সভাপতির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরিষদের সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ বলেন, তারেক বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অহংকার। তাঁর জনপ্রিয়তায় শুধু মন্ত্রী আমলারাই ভয় পান না, তাঁর বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্যে দেশের সমস্ত আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মিদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন। এখন তারেক রহমানকে তাঁরা নতুন করে গবেষণা করছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ঠেকানোর যতই চেষ্টা করা হোক, বর্তমান সরকার ও আওয়ামীলীগ তাঁর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না।
আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ‘তারেক রহমানকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে  নিউ ইয়র্কে তিনি একটি বড় ধরনের সেমিনার করার কথা ঘোষনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরান তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল কাদের খান এবং দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা আতিকুর রহমান।                                                                              
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা তোফায়েল আহমেদ লিটন, সফিক রহমান দুলাল, রফিকুল মাওলা, মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান, ফারুক হোসেন মজুমদার, ওমর ফারুক, এবি সিদ্দিক, হাজী আবুল খায়ের খালেক, সৈয়দুল হক,জাহিদ দেওয়ান শামীম, আবু তাহের, তরিকুল ইসলাম দিপু,মহিদুল হাসান মুহিদ, আব্দুল খালেক আকন্দ, শাহাদত হোসেন রাজু, মোশারফ হোসেন সবুজ, মতিউর রহমান লিটু, নীরা রব্বানী, মোহাঃ মনির হোসেন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, রাশেদ আহমেদ চৌধুরী ও ছাত্রনেতা মনিরুল ইসলাম মনির।  
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here