Childপ্রতিনিধি :: হতদরিদ্র গৃহবধূ বৃষ্টি বেগম (২৫)। নিজের কোলজুড়ে এসেছে এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু খুশি নন তিনি, নিজের নবজাতককে বিক্রি করে দিতে চান বৃষ্টি। সেই প্রস্তাবই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেন তিনি।

আর এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আনসারের পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বৃষ্টি জানান, তার বাড়ি বেনাপোলের বাড়াইলে। গত ৯ বছর আগে সোহেল মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে স্বামী সোহেল মিয়া বাচ্চাটিকে গর্ভে রেখেই চলে যায়।

এমন অবস্থায় যেখানে নিজে চলায়ই কষ্টকর সেখানে সন্তানকে কী খাওয়াবেন তিনি। তাই সন্তানকে বিক্রি করে দিতে চান। এর আগেও গর্ভে থাকা তার ৭ মাসের একটি বাচ্চা নষ্ট হয় বলে তিনি জানান।

ঢামেকের উপ-পরিচালক ডা. মো. মুসফিকুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বৃষ্টি ঢামেকে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তার পেটে ব্যথা শুরু হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়।

এসময় বৃষ্টি চিৎকার করে বলতে থাকে- সে বাচ্চা রাখবে না, বিক্রি করে দেবে। তাকে কীভাবে রাখবে, কীভাবে পালবে ইত্যাদি।

পরবর্তীতে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চাটি জন্মনিলে বৃষ্টির কোনো অভিভাবক না থাকার কারণে আনসারদের পাহারায় বাচ্চা ও তাকে হাসপাতালের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, ‘বৃষ্টি যদি তার বাচ্চা বিক্রি করতে চান, তাহলে হাসপাতালের মধ্যে বিক্রি করবেন কেন?

যদি বিক্রি করতেই হয় তাহলে আইনি সহায়তার মাধ্যমে পুলিশি সহায়তা নিয়ে এবং হাসপাতালের কাছে লিখিতভাবে জানিয়ে নিয়ম অনুসারে তা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘রোগী সুস্থ্য হলে তার সঙ্গে কথা বলবো। প্রয়োজন হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করবো, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেবো।’

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here