কামরুল হাসান, কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি :: কলারোয়া শেখ আমানুল্ল্লাহ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক ও আ’লীগ নেতা প্রভাষক খলিলুর রহমানের লাঙ্গলঝাড়ার বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে মারার প্রতিবাদে উপজেলা শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন পৌর শহরে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় কলারোয়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশ থেকে শিক্ষক সমাজের পাশাপাশি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনতার অংশ গ্রহণে কালো ব্যাজ ধারণ করে একটি বিশাল মৌন মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের আম তলায় সমাবেশ স্থলে যেয়ে মিলিত হয়।
সেখানে উপজেলা শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন’র সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ আমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন ওই বর্বর ঘটনার প্রথম থেকে শিক্ষক সমাজ ও আহত-নিহতের সাথে থেকে সহযোগিতা করা উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রথম থেকে শিক্ষক সমাজ ও আহত নিহতের পাশে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার তালুকদার ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
অতিথিবৃন্দ এ সময় ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের আহবান জানান।
সাথে সাথে শিক্ষক খলিলুর রহমানের সদ্য প্রয়াত কনিষ্ঠপুত্র তামিম আজাদ (৬) এর আত্মার মাগফিরাত এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার স্ত্রী শাহানারা খাতুন ঝরনা (৩৮) ও বড় পুত্র তানভির আসাদ (১৩) এর সুস্থতা কামনা করেন বক্তারা।
ঘোষিত কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে অন্যান্যের মধ্যে অংশ গ্রহণ করেন ও বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান স,ম মোরশেদ আলি, শেখ আমানুল্ল্লাহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা বেগম, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএম রুহুল কুদ্দুস, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দীক, অধ্যক্ষ আইউব আলী, উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরাফাত হোসেন, ক.পা.ই সাধারণ সম্পাদক এড. শেখ কামাল রেজা, প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক হরিসাধন ঘোষ, পৌর কাউন্সিলর মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, শিক্ষক ও সাংবাদিক দীপক শেঠ, সাংবাদিক অধ্যাপক কে, এম আনিছুর রহমান, জুলফিকার আলি, এমএ সাজেদ, মনিরুল ইসলাম মনি, ফিরোজ জেয়ার্দ্দার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, শ্রী কৃষ্ণ দাস সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক নিখিল অধিকারী, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, প্রধান শিক্ষক লিলি কামাল, প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক, মাদরাসা সুপার মাওলানা আবু ইউসুফ, সুপার আব্দুল বারী, সুপার আ. মোনায়েম, সুপার আসাদুজ্জামান, সুপার আলি বক্স, সহকারী প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম, প্রভাষক বিএম সিরাজ, সিনিয়র শিক্ষক মোস্তফা বাকী বিল্লাহ শাহী, মাস্টার বদরুজ্জামান বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সাহাজাদা, শ্রমিকলীগ নেতা আশিকুর রহমান মুন্নাসহ স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা শেষে সভাপতি আগামি ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গণস্বাক্ষর গ্রহণ করার কর্মসূচি দেন এবং স্বাক্ষরিত বইটি আগামি ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমাদানের কথা জানিয়ে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
গণস্বাক্ষরের জন্য বইটি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নিচতলায় রাখা হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উপজেলা বাকশিস’র সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন নেতা অধ্যাপক আবুল খায়ের।