ক্ষতিপূরণ অপরাধীদের শাস্তি দাবীওস্টাফ রিপোর্টার :: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) গুলিতে পা হারানো তরুণ লিমন হোসেন গতকাল একটি মামলা  থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে যারা লিমনের পা হারানোর জন্য দায়ী এবং যাদের প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ ভূমিকায় এই ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের হয়েছিল তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি  ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “অতি বিলম্বে হলেও এ ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে লিমনের ও তার পরিবারের অব্যাহতি জনমনে কিছুটা স্বস্তি আনবে, তবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ মাত্র। মামলা প্রত্যাহারই যথেষ্ট নয়, যারা নির্মমভাবে বিনা কারণে নিরপরাধ লিমনকে চিরজীবনের জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধিতার সম্মুখীন করেছে, যাদের প্ররোচনায় ও প্রত্যক্ষ ভূমিকায় এই ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাদের অবশ্যই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের আইন ও ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে।”
বিবৃতিতে ড. জামান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে লিমনের পা হারানো, তার নিরাপদ স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হওয়াসহ বিভিন্নভাবে নির্মম হয়রানির জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবী জানান। সরকারের প্রতি লিমনের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন ও পেশাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত  না হওয়া পর্যন্ত লিমন ও তার পরিবারের  আর্থিক দায়িত্ব নেয়ারও  আহবান  জানানো  হয়  বিবৃতিতে।
তিনি আরো বলেন, “আইন শৃঙ্খলা  বাহিনী  কর্তৃক রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিকের এহেন  চরম  মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এই বাহিনীর উপর জনগণের আস্থা বিপর্যস্ত করেছে। অবিলম্বে একটি  সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিপূর্ণ তদন্তের  মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে  তাদের বিচারের আওতায় আনার বিকল্প নেই।”
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. জামান আরো বলেন, “র‌্যাবের মত একটি পেশাদার ও এলিট বাহিনী কর্তৃক তরুণ লিমনের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের  ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভ্যন্তরে পেশাদারিত্ব, জবাবদিহিতা ও  সার্বিক সুশাসনের ঘাটতির বিব্রতকর দৃষ্টান্ত। আইনের রক্ষকের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর আইনের ভক্ষক হবার এ প্রবণতা  রুখতে হবে। দোষীদের  মুখোশ উন্মোচন ও বিচার করতে ব্যর্থ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের সেবক হিসেবে গড়ে তোলার সরকারের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি বাগাড়ম্বর ও অসার বলে বিবেচিত হবে।”
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here