হাসান ইমাম রাসেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ভেসে গেছে এক শিশু।
শনিবার সন্ধ্যাা দিকে উপজেলার চরপারবর্তী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আমিন সিমেনের বাড়ীর মনির আহমদের মেয়ে মনি (৬) জোয়ারের পানিতে ভেসে চলে গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ার ও শুক্রবার থেকে বৃষ্টির ফলে উপজেলার চরপারবর্তী ইউনিয়নের কিছু এলাকা ও চর পার্বতির কিছু অংশ জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। চরপার্বতী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে পানির কারনে। জলাবদ্ধতার কারণে বিপর্সস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জনজীবন।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানিতে বসত বাড়ী ও ঘর ডুবে যাওয়ায় ঘরের পাশে জোয়ারের পানিতে দাঁড়িয়ে ছিল চরপারবর্তী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মনির আহমদের মেয়ে মনি। এসময় ভাটা পড়লে ভাটার টানের সাথে জোয়ারের পানিতে ভেসে চলে যায় মনি।
নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারকে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য চরপার্বতির একটি সামাজিক সংগঠন এ নিয়ে রবিবার দুপুরে একটি মানব বন্ধন করেন।
চরপারবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল জানান, জোয়ারের পানিতে শিশু মনি ভেসে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তবে এখনো পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী ও রেড ক্রিসেন্টের টীম লিডার ইলিয়াছ মিয়া জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে অস্বাভাবিক প্রায় ৫ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেঁড়ি বাঁধের উপর দিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল সাইফুর রহমান বলেন, শনিবার আমি প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছি। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। তবে জোয়ারের পানি স্থায়ী নয় কিছুক্ষণ পর-পর আসে আবার চলেও যায়। জোয়ারে পানিতে কোন গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জোয়ারে শিশু কন্যা মনি ভেসে যাওয়ার ব্যপারে তিনি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান থেকে আমি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আর এধরেন ঘটনা এড়াতে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও সেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মীদের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগনকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।