মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা প্রতিনিধি :: খুলনার পাইকগাছায় শ্বশুর বৌমাকে ও চাচা ভাইজীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা বৌমা মুমুর্ষূ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
অপরদিকে ধর্ষিতা ভাইজীকে থানা পুলিশ উদ্ধার ও ধর্ষক চাচাকে আটক করেছে। পৃথক এ দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন(২০) ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর নিজ বসতবাড়ীতে ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় শ্বশুর সেলিম তালুকদার (৫০) জোর পূর্বক ধর্ষণ করার পর হত্যা প্রচেষ্টা চালায়।
রাতেই স্থানীয় লোকজন অচেতন অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে কয়রার জায়গীর মহল হাসপাতাল পরে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ধর্ষিতার ভাই নূর হাসান জানান, গত দু’মাস পূর্বে জাহাঙ্গীর জোর পূর্বক তার বোনকে বিবাহ করে। ঘটনার দিন অনেক কাকুতি মিনতি করেও নরপিষাশ শ্বশুরের হাত থেকে বোন নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি।
অপরদিকে গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের সনাতনকাটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যাকে তার চাচা নজরুল ইসলাম (১৮) নিজ বসতবাড়ীতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ শনিবার সকালে ভিকটিম ভাইজিকে উদ্ধার ও ধর্ষক চাচা নজরুলকে আটক করেছে। পৃথক দু’টি ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি সিকদার আককাছ আলী জানান, ভাইজী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে আজ রোববার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে বৌমা ধর্ষণের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। তবে ধর্ষককে গ্রেতারের পুলিশি চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ধর্ষিতার পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে বলে জানান।