ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত। ওইদিন উচ্চ আদালতের আদেশের অনুলিপি উপস্থাপন করার আদেশও দেয়া হয়।

বুধবার রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে শুনানি শেষে বিচারক বাসুদেব রায় এ আদেশ দেন।

এদিন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে মামলা দুটির বিষয়ে একটি আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রেখে সময় চেয়ে আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পাশাপাশি আদালতে আসতে না পারায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

মামলার বিষয়ে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেজবাহ জানান, মামলা দুটির বিষয়ে একটি আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকায় দাখিলকৃত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ধার্য তারিখেও (৩ সেপ্টেম্বর) একই বক্তব্য সম্বলিত পিটিশন দাখিল করলে বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন(১০ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ২৭ জুলাই আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য্য করেন বিচারক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা দুটিতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান। দুটি মামলায় বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে মামলা দুটিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়।

গত ২৩ এপ্রিল রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর পর গত ১৯ জুন বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিটটিও খারিজ করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ।

গত ১৩ জুলাই দুটি রিটের আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন আদালত মামলা দুটিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা রিভিশনের শুনানির দিন ধার্য করেন ২৪ জুলাই। আর বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির দিন ২১ জুলাই ধার্য্য করা হয়। ২১ জুলাই প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক নিয়োগের বৈধতা বিষয়ে আপিলের শুনানির দিন ধার্য্য করা হয় ২৪ জুলাই।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here