কলকাতা প্রতিনিধি: কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়েই ভারতের ষোড়শতম লোকসভার ভোট গণনা শুরু হল শুক্রবার। সকাল ৮ টা’য় দেশের ৫৪৩ লোকসভা আসনের ৯৮৯ টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা শুরু হয়েছে।
তা শেষ হলে খোলা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। দেশজুড়ে ৮০০০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন হবে আজ, যার মধ্যে আছেন নরেন্দ্র মোদি, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য গত ৭ এপ্রিল প্রথম পর্বের ভোট হয়, মোট নয় দফায় চলে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। শেষ পর্বে ভোট হয় গত ১২ মে। সবমিলিয়ে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল ১৬ তম লোকসভা নির্বাচন পর্ব।
প্রতিটি গণনাকেন্দ্রই ত্রিস-রীয় নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া হয়েছে। সেই নিরাপত্তা বলয়ে রাজ্য সশস্ত্র পুলিমের সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওযানরা। গণনাকেন্দ্রগুলির ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
যদিও ইতিমধ্যেই দেশের বুথ ফেরত জরিপ বলছে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা তেমন নেই। এমনকী এনডিএ একক গরিষ্ঠতাও পাচ্ছে বলে জরিপে দেখানো হয়েছে। উৎসাহী হয়ে বিজেপি সরকার গড়ার প্রস্তুতিও শুরু করেছে। এমনকী কারা কারা মন্ত্রী হবে সেই তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
কিন্ত বাস্তবে কি সেই জরিপ ঠিক হবে কি না জানা যাবে আর কিছুক্ষন পর থেকেই।
পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকে নজর আছে সকলের। ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়লেও এবার চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে এরাজ্যে। স্বভাবতই এবার তৃণমূল একক কৃতিত্বে কতটা আসন ছিনিয়ে নিতে সেটাই দেখার। যদিও এবার চতুর্মুকী লড়াইয়ে প্রাপ্ত ভোট কমলেও রাজ্যে তৃণমূলের দাপট যে অব্যাহত থাকবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। যেমন ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা যে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসতে চলেছে সে বিষয়েও নিশ্চিত তৃণমূল শিবির।