শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা টেঙ্গরপাড়া হাইস্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ও স্থানীয় রমেন চন্দ্র চন্দের কিশোরী কন্যা অঙ্কিতা চন্দ্র চন্দ পূজা (১৩) কে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের বখাটে পুত্র আরাফাত হোসেন (২২) গত ১১ নভেম্বর জোড় পূর্বক অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার ৪ দিন পরও পুলিশ মূল অপহারনকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সোমবার দুপুরে ওই অপহরণকারীর দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। এরা হলো অপহরণকারী আরাফাতের ভাই রুবেলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম এবং তৌহিদের স্ত্রী শিল্পী বেগম।

জানাগেছে, বখাটে আরাফাত দীর্ঘদিন থেকে পূজাকে তার স্কুলে যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। এতে পূজা রাজি না হলে তাকে স্কুলে ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বনের বাড়িতে যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে গত ১১ নভেম্বর বেলা ২ টার দিকে পূজা ভায়াডাঙ্গা বাজারের উত্তর বাজারের পুরাতন গরুহাটি এলাকায় তার কাকার বাসায় যাওয়ার পথে আগে থেকে ওতপেতে থাকা আরাফাত তার সঙ্গিয় লোকজন নিয়ে পূজার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই পূজা ও মূল অপহরণকরী পলাতক রয়েছে।

এদিকে অপহৃতার বাবা রমেন চন্দ্র চন্দ জানান, ঘটনার ৪ দিন পর মূল আসামীর দুই ভাবিকে আটক করলেও মূল আসামী আরাফাত গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা শংকিত ও আতংকি রয়েছি। কারন ইতিমধ্যে শ্রীবরদীর প্রভাবশালী মহল বিষয়টি নিয়ে তদবির করছে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ও হুমকি দেয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান জানান, ভায়াডাঙ্গা গ্রামের রমেন চন্দ্র চন্দের দেয়া এজাহারের ভিত্তিতেই অপহারণকারীর দুই ভাবিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এর আগে কিছুই বলা যাচ্ছেনা।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শাহরিয়ার মিল্টন/শেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here