রাখীর বাঁধনে নেতারাওনয়াদিল্লি :: আর পাঁচটা দিনের থেকে আজকের দিনটা খানিকটা আলাদা। কেন্দ্রীয় ‘রাজনীতি’ ভুলে সকাল থেকেই রাখীবন্ধন ঘিরে খানিকটা সম্প্রীতির মেজাজে রাজনীতির কারবারিরা। সকাল সকাল দেশবাসীকে ট্যুইট করে রাখীর সম্প্রীতি বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, গোটা দিন রাখী উৎসবে দিল্লি জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। ট্যুইটার ছেড়ে উৎসবে সামিল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও।

রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ট্যুইট করে বলেছেন, “এই উৎসব ঘিরে সম্প্রীতি ও বিশ্বাস গড়ে উঠুক। বিশেষ করে দেশীয় মহিলারা এই উৎসবে আরও বেশি করে অংশ নিন।” সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুকে রাখী পরিয়ে রাখী উৎসব উদযাপন করেন তিনি।nitish

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজের বাড়িতে রাখীবন্ধন উৎসব পালন করছেন। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার শিশু। সকলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে ভুড়িভোজের আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটের আগে রাখীবন্ধন উৎসবকে হাতছাড়া করতে চাইছে না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ।

শনিবার তিনি বিহারের রীতি অনুযায়ী গাছকে রাখী পরিয়ে উৎসব শুরু করেন। এর পর নিজের বাড়িতে ছোটদের কাছ থেকে রাখী পরেন তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবার ছুটে গিয়েছেন হরিদ্বারে। নিজের বোনের কাছ থেকে রাখী পরতেই তাঁর এই হরিদ্বার যাত্রা। কেজরির পরিবার সূত্রে এমনটাই খবর।rajnath-rakhi

রাখী বন্ধন উৎসবের মধ্যেই নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়ছেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। এক পদ এক পেনশন আন্দোলনের মঞ্চে যন্তর-মন্তরে আন্দোলনকারীদের রাখী পরিয়ে উৎসব পালন করেছেন সেনা শহিদের স্ত্রীরা। সব মিলিয়ে রাজনীতির ময়দানে জমজমাট রাখী বন্ধন উৎসব।

কখনও ভাই-বোনের সম্প্রীতি আবার কখনও বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ হিসাবে বারবার উঠে এসেছে রাখী বন্ধন উৎসব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের বিরুদ্ধে রাখী উৎসবকে প্রতীকী বিদ্রোহ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন।
১৯০৫ সালে ২০ জুলাই ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সিদ্ধান্তে ঘোষিত হয় যে হিন্দু ও মুসলিমের প্রাধান্য অনুসারে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার শক্তিকে খর্ব করা।

১৯০৫ সালে ১৬ অক্টোবরে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হয়। সমগ্র বাংলা এই বিভাগের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। শুরু হয় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন। এই আন্দোলন এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বাংলার সব মানুষকে আহ্বান জানান এর প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য। এই দিনটিতে তিনি রাখী বন্ধন উৎসব পালন করেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here