সাংবাদিক মারলে কিচ্ছু হয় না’ – নানা ভাবে এই কথাটি কত্ত বার যে শুনতে হয়েছে জীবনে, তার কোন হিসাব নেই । মহল্লার ছিঁচকে সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতা, পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, এমনকি সুহৃদদের মুখেও।
কেউ বলেছেন – হুমকী দিয়ে, কেউ শঙ্কা জানিয়ে। বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও সমর্থন করে তাদের কথা। গত বছরও (২০১৩ সালে) বিশ্বজুড়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১০৮ জনের মতো সাংবাদিক ও অন্য গণমাধ্যমের কর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন।
আর বিশ্বের যেসব দেশে সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মী হত্যার কোনো বিচার হয় না, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ছোট্ট এ দেশে গত দেড় যুগে কমপক্ষে ৩৯ সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মতো অধিকাংশ হতাকাণ্ডেরই ক্ষেত্রেই বিচার তো দূরের আলাপ, রহস্যই উদঘাটিত হয় নাই।দ্বিধা-বিভক্তি বা স্বার্থান্বেষণ আমাদের, মানে সাংবাদিকদের প্রতিবাদকে বার বারই করেছে ম্রিয়মাণ। আসলে নিজেদের পায়েই কুড়াল মেরেছি আমরা। ভীরুতা আর অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেদেরই করেছি নিরাপত্তাহীন।
এরই জেরে এবার বরিশাল নগরীর উত্তর মল্লিক রোডে নিজের বাসার ফটকে হত্যা চেষ্টার শিকার হন পুলক চ্যাটার্জী। বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পুলকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সাত/আটটি কোপ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে নিবির পরিচর্যায় আছেন; মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আর সংশ্লিষ্ট – আপাত অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের এটুকু বলতে চাই – সমগ্র বাঙলা আর বাকলা, মানে বরিশাল; এক না। ওই পূণ্যভূমির মানুষেরা সামগ্রিকতার স্বার্থে, ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দিতে জানে। অতএব তোদের বিচার হবেই হবে।
থাকুন।আমি এই হামলার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ, আহত। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি কেবল সন্ত্রাসী সুবল নয় বরং এই কুলাঙ্গারের গডফাদারকে গ্রেফতারের দাবী জানাই।