দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানীমুখী চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৯ দফা দাবিতে সমাবেশ করে ট্যানারি শ্রমিকরা। মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আয়োজনে ও চামড়া শিল্প রক্ষা ঐক্য পরিষদের সমর্থনে এ সমাবেশ করে।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ট্যানারি সরানো হচ্ছে সাভারে কিন্তু সাভারে সব কাজ সরকার শেষ করেছে। আগে বুড়িগঙ্গা দূষণ করেছে এখন ধলেশ্বরী কে দূষণ করবে শুধু তাই নই এখন দেখছি বাংলাদেশের চামড়া শিল্প কে ধ্বংস করবে তা না হলে সাভারে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ট্যানারি কারখানা সরাতে বলছে কেন ?
তিনি বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন শ্রমিকদের কোন ক্ষতি হবে না। যা করা হবে তা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে করা হবে কিন্তু আজ শ্রমিকরা পথে বসার জো হয়েছে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরার দশা হয়েছে। শ্রমিকদের আজ বেতন ও প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছে না। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ট্যানারি শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা তাও দিচ্ছে না।
তিনি মালিকদেরকে অনুরোধ করে বলেন, শ্রমিকদের বেতন পাওনা থাকলে তা দিয়ে দেন এবং নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে শিল্প কে ধ্বংস করবেন না।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে ট্যানারি শিল্পে যে, উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে শ্রমিকরা অনিশ্চয়তা ও দুরাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। চামড়া শিল্পকে বৃহত্তর স্বার্থে শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাদের বেতন দিতে হবে। শ্রমিকদের চাকরি বাচিয়ে রাখতে তার প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শ্রমিকের ভূমিকা খুবই নগণ্য অথচ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছেন শ্রমিকরাই। তাদের দাবি সমূহ, শ্রমিকদের আবাসনদিতে হবে, তাদের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে যাতে চাকরি স্থায়ী হয়।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, চামড়া শিল্প ঐক্য পরিষদ কো- চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বিএফএলএলএফইএ র সিনিয়র ভাইজ চেয়ারম্যান মোঃ দিলজাহান ভুইয়া. ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক প্রমুখ।