পানিস্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশে ব্যবহার করা প্রায় ৯২ শতাংশ পানিই দূষিত বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশিত ‘প্রমিজিং প্রগ্রেস: এ ডায়াগনস্টিক অব ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন, হাইজিন অ্যান্ড পভার্টি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম। বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর শিরিন জুমা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জর্জ জোসেফ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদেশের ১৩ ভাগ পানির উেস আর্সেনিক পাওয়া  গেছে। আর্সেনিকের দূষণ চট্টগ্রাম ও সিলেটে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও বাংলাদেশের পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে লবণাক্ততার সমস্যা রয়েছে যা মূলত দরিদ্র্যদের বেশি ভোগাচ্ছে। এদেশে এক-তৃতীয়াংশ পরিবার দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করেছে বেশ সফলতার সঙ্গেই। কিন্তু এর পরেও দেশের ৫ কোটি মানুষ ভাগাভাগি করে ও নিম্ন মানের টয়লেট ব্যবহার করছে। মাত্র ২৮ ভাগ টয়লেটে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বস্তি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি।
প্রতিবেদনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জর্জ জোসেফ উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের অর্ধেক শিল্প-কারখানায় টয়লেট সুবিধা রয়েছে। শুধু তাই নয়, অর্ধেক স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এক-চতুর্থাংশ মেয়ে মাসিকের সময়ে এই কারণে স্কুলে যায় না। নিরাপদ ও উন্নত টয়লেট সুবিধা করা গেলে এদেশের নারীদের কর্মসংস্থানে উপস্থিতি আরো বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here