মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় হামলার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। তবে ‘বিশেষ অনুরোধের’ পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি পাওয়ার পর পুলিশ বেষ্টিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে দলটি।

সোমবারের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় হামলার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল করতে না দেয়ার নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে রোববার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বানচালে র‌্যাব-পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দেশের বিভাগী শহর এবং জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

ঘোষিত কর্মসূচি ঠেকাতে রাজধানীতে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সকাল থেকে ঘেরাও করে রাখে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বিক্ষোভ ঠেকাতে জলকামান ও সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় তারা। সার্বক্ষণিক টহলে থাকে র‌্যাব।

দুপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা থাকলেও পূর্বানুমতির অজুহাত তুলে তা করতে দেয়নি পুলিশ। এরপর বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি পেলেও মাইক এবং হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি।

পুলিশের রমনা জোনের এডিসি মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি আগে নেয়া হয়নি। এজন্য তা পালন করতে দেয়া হয়নি। বিশেষ অনুরোধে সংক্ষিপ্ত আকারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

সমাবেশে ফখরুল বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক কায়দায় সরকার আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। গতকাল রোববার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বানচাল করতে তারা র্যা ব-পুলিশ এবং আওয়ামী পেটোয়া বাহিনী ব্যবহার করেছে।

ফ্যাসীবাদী কায়দায় সরকার গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে কখনো অবরুদ্ধ করে রাখা যায় না। ইস্পাত কঠিন আন্দোলনেরে মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটনো হবে।’

গতকালের সহিংস ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী করে লাভ নেই। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। রোববারের অরাজকতার সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় সরকারকে নির্যাতন ও নিপীড়নের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় সবকিছুর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here