১৭ বছর পূর্ণ করে ১৮ বছরে পদার্পণ করছে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা। ‘অবিরাম বাংলার মুখ’ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে ১৫ জুলাই ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে চ্যানেলটি। ঐদিন বিশ্বব্যপী প্রথম বাংলা ভাষা’র সম্প্রচার ঘটে চ্যানেলটির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালের মে মাসে এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয় এটিএন বাংলা। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়ার গল্প।

১৬ আগষ্ট ২০০১ সংবাদ, আর ২০০২ এর ১ অক্টোবর শুরু হয় ইংরেজী সংবাদ প্রচার। ২০০৩ সালে শুরু হয় প্রতি ঘন্টার সংবাদ। নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার করে এটিএন বাংলা হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম সেরা সংবাদ মাধ্যম। সব ধরনের সংবাদ সবার আগে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই এগিয়ে থাকার পাশাপাশি দু:সাহসিক সংবাদ সংগ্রহে কখনও পিছপা হয়নি চ্যানেলটি। শুধু সংবাদ নয়, অনুষ্ঠান প্রচারেও এটিএন বাংলা নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা, খেলাধূলা, সমাজ, সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠার প্রচারের বিষয়ে বারবরই প্রাধান্য দিয়েছে। সব ধরনের অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রেই এটিএন বাংলা তার নিজস্বতা বজায় রেখেছে। সেইসঙ্গে গতানুগতিক ধারার অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে গা ভাসানো থেকেও বিরত থেকেছে। ১৮ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মধ্যরাত থেকেই প্রচার হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও শুভেচ্ছা বিনিময়। চলবে সারাদিনব্যাপী।

দীর্ঘ দেড় দশকের পথপরিক্রমায় এটিএন বাংলার অর্জন অনেক। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর ‘আমরাও পারি’ অনুষ্ঠানের জন্য ছোট পর্দার অস্কার খ্যাত এমি এ্যওয়ার্ড অর্জন। এশিয়া অঞ্চল থেকে আঞ্চলিক এ্যাওয়ার্ড, মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড, বজলুর রহমান স্মৃতিপদক, এশিয়ান ব্রডকাস্টার অব দ্য ইয়ার-২০১২, ইউএনসিএ এ্যাওয়ার্ড ২০১২ ও ২০১৩ অর্জন করে এটিএন বাংলা’র অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরাম পরিচালিত ‘টিভি দর্শক জরিপ-এ নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারের জন্য বরাবরই শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে চ্যানেলটি।

বাংলাদেশের খেলাধুলাকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এটিএন বাংলা বদ্ধপরিকর। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার ফুটবল লিগ সরাসরি সম্প্রচার করে চ্যানেলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ‘পিসিএল টি-২০ ক্রিকেট সিরিজ’, ‘এনসিএল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট’, ‘সাফ উইমেন্স ফুটবল টুর্ণামেন্ট’, সাউথ এশিয়ান গেমস এর ক্রিকেট খেলা, মহিলা বিশ্বকাপ ক্রিকেট এর বাছাই পর্ব এবং দেশের ৪৮০০ স্কুলের অংশগ্রহণে জাতীয় স্কুল ফুটবল ও স্কুল হকি টুর্ণামেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন বাংলা। পাশাপাশি আয়োজন করছে এটিএন বাংলা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট। এ বছর গুড উইল ভিজিটে আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন পরিদর্শন করেন এটিএন বাংলা’র চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।

দর্শকদের ভালোবাসা নিয়ে দিনে দিনে এগিয়ে চলেছে এটিএন বাংলা। ‘অবিরাম বাংলার মুখ’ শ্লোগানকে বুকে ধারণ করা এই চ্যানেলটি দর্শকদের রায়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে অনেকে আগেই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মাধ্যমেই এই অবস্থানটি অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এটিএন বাংলা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here