বাংলাদেশী শ্রমিক

ডেস্ক নিউজ :: বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে। নিয়মিত রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তারা অসামান্য অবদান রাখছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম মঙ্গলবার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরেন।

অপরদিকে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করেছে।

এ উপলক্ষে আজ বুধবার টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বক্তৃতা করেন।

তিনি জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসীকে দেশের উন্নয়নে ও সুনাম বৃদ্ধিতে আরো বেশি দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে উভয় দেশেই দূতাবাসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এসব কথা জানানো হয়। টোকিওস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা দিবসটির তাৎপর্য ও গুরত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে এবং অভিবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী অভিবাসীদের সম্ভাবনা ও সার্থকতা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।

এছাড়াও উপস্থিত অভিবাসীদের সাথে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় জাপানে কীভাবে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, অভিবাসীদের সমস্যা দূর করার উপায় এবং কীভাবে দেশে বৈধ পথে এবং সহজে আরো বেশি রেমিটেন্স পাঠানো যায় সেসব বিষয় উঠে আসে। অভিবাসীগণ জাপানে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের আসার পথ সুগম করা এবং লেখা-পড়া শেষে কাজ করার বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং অনেক বছর ধরে অবস্থান করা অভিবাসীদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসও গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করে। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রবসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here